সুজন কৈরী : [২] রাজধানীর শাহবাগে বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রিশাদ হুদার ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[৩] হামলার শিকার সাংবাদিক রিশাদ হুদা বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম আহম্মেদ বাবু ও তার সহযোগী তানভীর, ইউসুফ, ইকবালসহ আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এরপর পুলিশ মামলার প্রধান আসামি নাজিমসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
[৪] সাংবাদিক রিশাদ হুদা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ছেলে।শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বলেন, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক রিশাদ হুদাকে মারধরের অভিযোগে ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৫০৬ ধারায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি নাজিম আহম্মেদসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত সাংবাদিক রিশাদ বলেন, শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের পেছনের গলি দিয়ে যাওয়ার পথে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজিম আহম্মেদ তার প্রাডো-১২ গাড়ি আমার মোটরসাইকেলের বামে এসে চাপ দেয়। এ সময় আমি হর্ন বাজিয়ে সংকেত দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং গাড়ি থেকে নাজিম উদ্দিনসহ তার দুজন সহযোগী নেমে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এরপর তারা আমার হেলমেট খুলে মাথা, বুক ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীদের তোপের মুখে সেখান থেকে আমার মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে আমাকে আজিজ মার্কেটের সামনে যেতে বলা হয়।
[৫] তিনি আরও বলেন, আজিজ মার্কেটের সামনে গেলে তারা আমাকে মার্কেটের মালিক সমিতির সভাপতির কাছ থেকে চাবি আনতে বলে। এরপর চাবি নেওয়ার জন্য মার্কেটের চতুর্থ তলায় গেলে সেখানে কলাবাগান থেকে আসা আরও ১০-১৫ জন আমাকে মারপিট করে মোবাইল কেড়ে নেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নাজিম আহম্মেদকে থানায় নিয়ে যায়। হামলার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।