রউফুল আলম
ল²ীপুর ও বরগুনায় আরও দুটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বিপ্রবি) হচ্ছে। চাঁদপুরেও হচ্ছে। যাদের সংক্ষিপ্তরূপ হয়তো হবে, লবিপ্রবি, ববিপ্রবি, চাঁবিপ্রবি। এ নিয়ে বিপ্রবির সংখ্যা কতো হলো, জানি না। তবে শীঘ্রই দুই ডজন হবে আশা করছি। কারণ আরও কয়েকটি বিপ্রবির জন্ম হবে। এই বিপ্রবিগুলোতে ভবন থাকবে না। ঠিকমতো আবাসন থাকবে না। টুল-টেবিল থাকবে না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চাষাবাদের জন্য ল্যাবরেটরি তো দূরাশা ও দুঃস্বপ্ন। বিপ্রবিগুলোতে বিজ্ঞান চর্চার নাম গন্ধ থাকবে না। তবে কলা ও বাণিজ্য অনুষদের বহু বিষয় রাখা হবে এবং হাজার হাজার স্টুডেন্ট ভর্তি করানো হবে।
ব্যাচেলর-মাস্টার্স পাস করা কয়েকশো শিক্ষক থাকবে। যাদের পঞ্চাশ শতাংশ চার-পাঁচ ধরে বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবে। তারপর বিদেশে গিয়ে আরও পাঁচ-সাত বছর পড়াশোনা করবে। এদিকে স্টুডেন্টদের ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকবে না। সেশনজটে পড়বে স্টুডেন্টরা। শিক্ষার পর্যাপ্ত উপকরণ থাকবে না। গবেষণার তো প্রশ্নই আসে না। এই বিপ্রবিগুলোতে ছাত্র রাজনীতি থাকবে। দেশ ও জাতির রক্ষার জন্য শিক্ষক-ছাত্ররা রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকবে। যে যার সুবিধামতো পদপদবি নেবে। এগুলো নিয়ে মাথা ফাটাফাটি হবে। দল-উপদল কোন্দল হবে। যে দেশ তার একশো বছরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করতে পারেনি আজও, সে দেশ ও ব্যবস্থাপনা এই বিপ্রবিগুলোকে আগামী একশো বছরে কোথায় নিয়ে যাবে এটা একটা শিশুও অনুমান করতে পারবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :