ফরহাদ হোসেন: [২] ভোলায় বালু বিক্রিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কাঠির মাথায় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
[৩] আহতরা হলেন, মালেক, শারিফ, ফাতেমা, সুফিয়া, নাদিম, রমজান, কামরুল, মহিউদ্দিনসহ উভয় পক্ষের অন্তত্য ১৫ জন আহত হয়েছে।
[৪] ভুক্তভোগী বাবুল অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকিব ও তার ভাতিজা শামিম হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে মনির মেম্বারকে দিয়ে বিক্রি করেন।
[৫] বুধবার সকালে ওয়ার্ড আ'লীগ সম্পাদক মালেক বাধা দিলে চেয়ারম্যান নকিবের নেতৃত্ব মনির মেম্বরার, সিরাজ, রফিক, শামিম হাওলাদারসহ তার পালিত প্রায় ৩শতাধিক ক্যাডার বাহিনী আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এসময় আমার বসত ঘরে হামলা লুটপাট ও ভাংচুর করে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন।
[৬] অভিযুক্ত মনির মেম্বার বলেন, আমি বালি বিক্রি করতে গেলে মালেক ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এতে চেয়ারম্যান তাকে জিজ্ঞেস করলে মালেক, বাবুল চেয়ারম্যানের উপর আক্রমণ করেন। এতে আমাদের ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের উপর হামলা করেন।
[৭] ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম নকিব বলেন, আমার মেম্বারের বালি বিক্রিতে বাধা দিলে আমি সেখানে যায়। তারা আমাকে আক্রমণ করলে উত্তেজিত জনতা তাদের বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেন।
[৮] ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।