ফরহাদ আমিন: [২] কক্সবাজারের টেকনাফের জীম্বখালী নাফনদীর তীর এলাকায় বিজিবি সঙ্গে গোলাগুলিতে এক অজ্ঞাত মাদককারবারী নিহত হয়েছেন।ঘটনাস্থল থেকে ১লাখ ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
[৩] রোববার ভোররাতে হোয়াইক্যং ইউপি জীম্বংখালী সংলগ্ন নাফনদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আহত বিজিবি সদস্যরা হলেন, ২ব্যাটলিয়নের নায়েক সাজদার রহমান (৩৭) ও লেন্স নায়েক মোস্তফা আলী (৩২)।
[৪] রোববার দুপুরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের চিত্তবিনোদন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ২বিজিবি ভারপ্রাপ্ত উপ অধিনায়ক ও উপ পরিচালক।
[৫] ২বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, রোববার (১৪নভেম্বর) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান জীম্বংখালী বিওপি দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম ১৬হতে আনুমানিক ৫০০গজ উত্তরে ৭নম্বর স্লুইচ গেইট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পাচার হবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ান সদর এবং জীম্বংখালী বিওপির একটি বিশেষ টহলদল উক্ত এলাকায় নাফ নদীর তীরে অবস্থান নেয়।
[৬] ভোররাতে তিন জন ব্যক্তিকে শূন্য লাইন অতিক্রম করে নৌকাযোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। টহলদল দেখা মাত্র তাদের চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারিরা বিজিবি টহলদলের উপর অতর্কিত ভাবে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবি দুই সদস্য আহত হন। এসময় বিজিবি টহলদল সরকারি সম্পদ এবং নিজের জান-মাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।উভয় পক্ষের মধ্যে ৪-৫মিনিট গুলিবিনিময় হয়। ওই সময় দুইজন ইয়াবা কারবারী ডুব সাঁতার দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায় এবং অপর একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে বিছিন্ন হয়ে পড়ে।
[৭] গুলাগুলি থামার পর ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে নাফনদীর কিনারা হতে দুটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ, একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি কার্তুজের খালি খোসাসহ এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বিজিবি দুই সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। পরে উদ্ধারকৃত ব্যাগগুলো খুলে গণনা করে ৩কোটি টাকার মূল্য মানের ১লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। নিহতের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি তার বয়স আনুমানিক ২৫বছর।
[৮] তিনি আরো জানান, সরকারি কর্তব্য পালনে বাঁধা প্রদান ও অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।সম্পাদনা: শান্ত