মঈন উদ্দীন: [২] দেশের সবচেয়ে ছোট আকৃতির গরুটি এখন রাজশাহীতে। গরুটি সংগ্রহ করেছেন রাজশাহী সওদাগর এগ্রোর স্বত্বাধিকারী আরাফাত রুবেল। নগরীর কাটাখালি শ্যামপুর এলাকায় গরুর খামার রয়েছে রুবেলের। নাম দিয়েছেন ‘মাফিন’। মাফিনকে একনজর দেখতে খামারি আরাফাত রুবেলের বাসায় ভিড় জমাচ্ছেন লোকজন।
[৩] অনেকেই গরুটির সঙ্গে সেলফিও তুলছেন। ভিড় জমাচ্ছেন সৌখিন খামারিরাও। মাফিনকে পেতে লাখ টাকাও দাম হাঁকছেন কেউ কেউ। কিন্তু খামারি আরাফাত রুবেল গরুটিকে বানিজ্যিকরণ না করে, দেশের কল্যাণে এটিকে চিড়িয়াখানা অথবা প্রাণীসম্পদ গবেষণার কাজে দিতে চান।
[৪] তার খামারে শাহিওয়াল, গির, মীরকাদিমের হাঁসা, মুন্ডি ও ব্রাহামা জাতের গরু রয়েছে। সেই তালিকায় যুক্ত হলো ভুট্টি জাতের খাঁটো গরু মাফিন। মাফিনকে বেঁচতে চান না খামারি রুবেল। তিনি বলেন, ক্ষুদ্রাকৃতির গরু হিসেবে তিনি এই গরুটি তিনি সংগ্রহ করেছেন। তিনি চান, গরুটি সুস্থ ও স্বাভাবিক গরু হিসেবেই দর্শনার্থীদের জন্য থাক। রুবেল বলেন, লম্বায় ২৮ ইঞ্চি গরুটির উচ্চতা সাড়ে ২৩ ইঞ্চি। আর ওজন সাকুল্যে ১৮ কেজি। টেঙুরা বা ভুট্টি জাতের গরুটি প্রাপ্তবয়স্ক (দুই দাঁত)। তার নাম দেওয়া হয়েছে মাফিন।
[৫] ‘দেশের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু এখন মাফিন’ এমন দাবি করে এই খামারি আরাফাত রুবেল বলেন, দেশের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু ছিল ‘রানী’। লম্বায় ২৭ ইঞ্চি রানীর উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি। ওজন ছিল ২৬ কেজি। সেটিও ছিল ভুট্টি জাতের গরু। অসুস্থ হয়ে ১৯ অগাস্ট দুই বছর বয়সে মারা যায় রানী।