মাছুম বিল্লাহ, গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড থেকে: [২] জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল গঠনে সম্মত হলেও নানা শর্ত জুড়ে দিচ্ছে উন্নত দেশগুলো। বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভূক্ত করার পাশাপাশি সেই অর্থের জন্য স্বল্প হলেও সুদ গুণতে হবে ঝাঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে।
[৩] পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এ কথা জানিয়েছেন।
[৪] স্কটল্যান্ডের রাজধানী গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ছিলো "মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি অ্যাকশন প্লান" শিরোনামে প্যানেল ডিসকাশনসহ নানা আয়োজন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
[৫] তিনি বলেন, এ সম্মেলনে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের আলোচনায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অগ্রাধিকার ছিলো বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল নিশ্চিত করা। ক্লাইমেট ভার্নারেবল ফোরামের আলোচনায়ও গুরুত্ব পেয়েছে তা। নীতিগতভাবে এই তহবিল নিয়ে আপত্তি জানায়নি অধিক কার্বন নি:সরণকারী ধনী দেশগুলোও। তবে সেই অর্থ দিতে নানা অজুহাত আর শর্তের বেড়াজাল।
[৬] তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের পরিমাণ ৩০ শতাংশ কমাতে বিশ্ব নেতারা একমত হলেও তাতে সই করেনি বাংলাদেশ। ব্যাখ্যা, ততোটা ঝুকিপূর্ণ নয় আমাদের বনাঞ্চল।
[৭] পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, মুজিব ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান প্রশংসা কুড়িয়েছে বিদেশিদের। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির মুখে পড়া দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ইতিবাচক ভাবে নিয়েছে বিশ্বনেতারা।
[৮] অনুষ্ঠান শেষে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনূন নিশাত বলেন, এবার প্রতিষ্ঠানগতভাবেও বদল ঘটেছে সম্মেলনের। এবারই প্রথম সম্মেলনের শুরুতে বিশ্বনেতাদের বৈঠক হয়েছে যা আগে হতো সম্মেলনের শেষে। এবার জলবায়ু সম্মেলনে মূলত প্যারিস চুক্তির প্রযুক্তিগত দিক নিয়েই বেশি আলোচনা হবে।