মাছুম বিল্লাহ, গ্লাসগো , স্কটল্যান্ড থেকে: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বাংলাদেশের সামরিক খাতে সহায়তার এ প্রস্তাব দিয়েছেন।
[৩] মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় স্কটিশ এক্সিবিশন সেন্টারে কপ-২৬ ভেন্যুর ইউকে মিটিং রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় এ প্রস্তাব দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।
[৪] বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে চলা বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা উন্নয়নসহ অন্যান্য বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী।
[৫] বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের ৫০ বছরপু্র্তি অনুষ্ঠান যৌথভাবে করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি। জনসন বলেন এ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশে যেতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৃটেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাবেন।
[৬] এসময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ভুমিকার সমালোচনা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের কার্যক্রম গ্রহনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেইসাথে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্য মিয়ানমারের পাশে থাকবে বলে শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন বরিস জনসন। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশৃরয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি৷ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ান দেশগুলো ইতিবাচক ভুমিকা রাখবেন বলে আশা করেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী।
[৭] ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম বা সিভিএফের নেতা হিসেবে কপ ২৬ সম্মলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুমিকারও প্রশংসা করেন জনসন।
[৮] বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর চালু করা সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বৃটেনে আবারও চালুর প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেন যুক্তরাজ্যের সাথে এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভাল বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
[৯] এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সাথে সাইডলাইন বৈঠক করেন। তিনিও সিভিএফ নেতা হিসাবে কপ২৬ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশসহ সিভিএফ সদস্য দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় সরাসরি অর্থ ও প্রযুক্তি সরঞ্জাম সহায়তা দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান স্কট মরিসন। এছড়াও এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিভিএফ এর ৪৮ টি দেশের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এতে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতা, মন্ত্রীরা ছাড়াও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বক্তব্য দেন।