শোয়েব সর্বনাম: গান শুনে ধর্মানুভূতিতে আঘাত পাওয়ার প্রশ্নে মামলা করা ঠিক আছে। বিজ্ঞ আদালতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটা রায় পাওয়া যাবে। দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
আশা করা যায়, এই রায়ের মধ্যে ধর্মানুভূতি এবং আর্ট এই দুইটা বিষয় স্পষ্ট করা হবে। এইগুলার একটা কাঠামোগত সংজ্ঞা তৈরি করে দেয়া হবে, যা পরবর্তি বিচার আচারে রেফারেন্স আকারে ইউজ করা যাবে।
একটা হিন্দু লোক সামনে দিয়ে হেঁটে গেলেই একজন মুসলমানের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে, অয় হিন্দু হইছে কেন? আমি এইরকম বলাবলি করতে শুনছি, একজন হিন্দু লোক সম্পর্কে কয়েকজন দাড়িটুপি দুঃখ করতেছেন, এত ভাল একটা লোক, অথচ খাড়ায়া মোতে!
ফলে, অনুভূতির বাউন্ডারি ঠিক করে দেয়া জরুরি। ইহুদি নাছারা লোকেরা কেন এখনো ইহুদি নাছারা অবস্থায় আছে— এইটা দেখে একজন সত্যিকার ধর্মপ্রান মুসল্লির অনুভূতিতে আঘাত লাগাটা স্বাভাবিক না?
ওই ইহুদি নাসারাদের নামে মামলা করে দিতে হবে।
পুলিশের গোয়েন্দাদের দায়িত্ব দেয়া হইছে গান নিয়া তদন্ত করতে। ওরা এখন তাল লয় মাত্রা ইত্যাদি শিখে ফেলবে। দেখা যাবে, ডিটেইল ইনভেস্টিগেশনের জন্য শিবু কুমার শীলকে রিমান্ডে নিয়ে ইলেকট্রিক গীটার ধরায়ে দিছে। ড্রামস কি বোর্ড ভাড়া করে নেয়া হবে, লগে এসপি টু মার্কা লাউড স্পীকার। অফিসে বসেই ফাও ফাও মেঘদলের একটা লাইভ কনসার্ট উপভোগ করবে ওই পুলিশেরা। ক্রিমিনাল সায়েন্সে এই তদন্ত নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এই সবই ঠিক আছে। বাট যেই লোকটা ঘুম থেকে উঠেই ইউটিউব চালায়ে দেয় তার ধর্মানুভূতি নিয়াও তদন্তের দরকার আছে। তার সার্চ এন্ড ব্রাউজ হিস্টোরিও তদন্তের আওতায় আনা হোক।