রাশিদুল ইসলাম : [২] কংগ্রেসের পশ্চিমবাংলা শাখার সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে টার্গেট করে বলেছেন, ‘দিদিভাই’ ক্ষমতায় আসার আগে পশ্চিমবঙ্গে ২শ থেকে আড়াইশ আরএসএসের শাখা ছিল। এখন তা ৪ থেকে ৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে। পারসটুডে
[৩] অধীর লোকসভায় বলেন, পশ্চিমবাংলায় বিরোধীদলগুলোকে ভাঙিয়ে তৃণমূল শক্তিশালী হল। বিরোধীদলগুলোকে খতম করে দিল। রাস্তা খুলে দিল বিজেপি’র জন্যে। বাংলায় আজকে বিজেপি’র রমরমা তৈরি করার পিছনে সবথেকে বড় অবদান হল মমতার।
[৪] তৃণমূলের সিনিয়র নেতা অধ্যাপক সৌগত রায় এমপি অবশ্য অধীর বাবুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, দেশে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বাড়াতেই পারে আরএসএস। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের কিছু করণীয় নেই।
[৫] সম্প্রতি গোয়া সফরের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, রাজ্যে কংগ্রেস বিজেপি’র বিরুদ্ধে নয়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। সেজন্য কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট কীভাবে সম্ভব? মমতা বলেন, কংগ্রেসের জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে।
[৬] এরআগে মমতার সমালোচনার পাল্টা জবাবে অধীর রঞ্জন চৌধুরী এমপি বলেন, যে দল বরাবর তার পাশে ছিল, সেই দলকেই আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখন বিরোধী ঐক্যের কথা বলছেন। মমতার উত্তর দেওয়া উচিত, অতীতে বিজেপি’র সঙ্গে কেন তিনি জোট করেছিলেন, কেন এনডিএ সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন? এ ভাবেই কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধ চলছে।