অহিদ মুকুল : [২] নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দির, পূজামণ্ডপ, দোকান ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর এবং ইসকন ভক্ত নিহতের ঘটনায় করা মামলায় আরও দুই আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
[৩] এ সময় তারা মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর ও খুনের ঘটনায় জড়িত আরও ২৬ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
[৪] যে দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁরা হলেন চৌমুহনী পৌরসভার টিঅ্যান্ডটি কলোনির মো. আরিফ (২১) ও গণিপুরের আবদুর রহিম (৪০)।
[৫] আজ শুক্রবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ওই দুজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১৫ অক্টোবর মন্দির, পূজামণ্ডপ, দোকান ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর এবং একজন ইসকন ভক্তকে মারপিট করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁরা এ বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
[৬] কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার খবরের জেরে ১৩-১৫ অক্টোবর নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় মন্দির, পূজামণ্ডপ, দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হন দুই ইসকন ভক্ত। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় মোট ২৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৭] তাদের মধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন আসামি।
আপনার মতামত লিখুন :