শিরোনাম
◈ বিএনপিকে চাপে রাখতে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলন ◈ এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি ◈ এ‌শিয়া কাপ, রা‌তে আফগানিস্তা‌নের মু‌খোমু‌খি বাংলাদেশ ◈ ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম: হিজাব–নন-হিজাব, সবার পোশাক ও পরিচয়ের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে ◈ সঙ্কটে এশিয়া কাপ! দা‌বি না মান‌লে, প‌রের ম‌্যাচ আরব আ‌মিরা‌তের বিরু‌দ্ধে খেল‌বে না পাকিস্তান ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে এবার মুখ খুললেন সৌরভ গাঙ্গু‌লি ◈ নেতানিয়াহুর পাশে আমেরিকা, লক্ষ্য হামাস ধ্বংস: রুবিও ◈ বিনা পাসপোর্টে ভারতে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ ◈ ম‌তের মিল হ‌চ্ছে না,  জামায়াতের সাথে এনসিপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে যে সব কারণে ◈ মৌলভীবাজারে উদ্ধার হওয়া ‘পিট ভাইপার’: কতটা বিষধর এই সবুজ বোড়া?

প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ০৪:১১ সকাল
আপডেট : ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ০৪:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এম আবুল হাসনাৎ মিল্টন: বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতার আগুনে আলু পোড়াতে বিদেশে তৎপর তারা কারা?

এম আবুল হাসনাৎ মিল্টন
পুজোকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাগুলো ঘটেছে, বাংলাদেশ সরকার তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সরকার আইন করবার কথাও ভাবছে। আমরা আশা করছি, অচিরেই ঘটনার আদ্যোপান্ত উদ্ঘাটিত হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সকল অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের এই অপ্রীতিকর ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। নতুন শতাব্দীতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়েছে। গত ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিলো যে, ২০০১ সালের সেই নির্বাচনের ফলে কয়েকমাসে তিন লাখ হিন্দু দেশত্যাগ করে প্রতিবেশী ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র ও নির্বাচন থেমে থাকেনি। বিশেষ করে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধপল্লীতে জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা অনুযায়ী যে ভয়াবহ হামলা হয়েছিলো, তা কেবল নিরীহ বৌদ্ধ সম্প্রদায় শুধু নয়, সমগ্র জাতিকেই স্তম্ভিত করেছিলো। তার পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে বিচার চলাকালীন আমরা জামায়াত-বিএনপির ধারাবাহিক সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। এমনকি, এবার দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে একাধিক স্থানে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার পেছনেও বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, আমরা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ দেখতে চাই।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, মুসলমান, সবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং বলেছেন, এই দেশটি সবার, এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয়। আমরা যখন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর বিচার দাবি করছি, তখন প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তাঁর দেওয়া আশ্বাসের ওপর আস্থা রাখছি। এতো কিছুর পরও আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বিদেশে জামায়াত-বিএনপির কিছু এজেন্ট এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রবাসীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। সিডনিতে এক জামায়াতি সাংবাদিক বাংলাদেশের সন্ত্রাসী ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলে তার অনলাইন পোর্টালে লিখেছে। সবিনয়ে প্রশ্ন করতে চাই, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কাকে বলে? এই দাঙ্গা কি ছাগুদের মস্তিষ্কে তৈরি হয়? একটু আগে ব্রিসবেনের একটি অনুষ্ঠানের খবর পেলাম। সেখানকার বাংলাদেশ এসোসিয়েশন দেখলাম জেহাদী জোশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে সমাবেশ ডেকেছে। অতীতে কতো ঘটনা ঘটলো, এই এসোসিয়েশন নিজেদের অরাজনৈতিক দাবি করে দূরে সরে থেকেছে। অথচ তাদের কর্মসূচি দেখে সেখানকার বাঙালি কমিউনিটি বিস্মিত। এটা কি এসোসিয়েশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে? নাকি ভিন্ন কোনো গোপন মতলব আছে?

বাংলাদেশে সংঘটিত যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার দায় সরকার এড়াতে পারে না। যে কোনো ধর্ম বা মানুষের ওপরে আক্রমণের আমরা প্রতিবাদ করি। তবে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ যদি সাম্প্রদায়িকতার আগুন উসকে দিয়ে তাতে আলু পোড়ানোর অপচেষ্টা করে, তবে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। আসুন, আমরা সবার জন্য বসবাসযোগ্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিময় একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করি। বাংলাদেশে যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্মদাতা এবং ধারক-বাহক, তাদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে দূরে থাকি। বাংলাদেশটা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান সবার। এটা কোনো ষড়যন্ত্রকারীর নয়। চিয়ার্স! লেখক : চিকিৎসক ও গবেষক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়