শওগাত আলী সাগর
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ২২ জন রিপোর্টারকে ‘বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে। একটি জুরি বোর্ড রিপোর্টারদের রিপোর্ট যাচাই বাছাই করে এই ২২টি রিপোর্টকে সেরা হিসেবে বিবেচনা করেছে। রিপোর্টার্স ইউনিটি এই সেরা রিপোর্টারদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করেছে। প্রথমে আমি এই সেরা রিপোর্টারদের অভিনন্দন জানাই। যারা পুরস্কারের জন্য রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন- সেগুলো নিশ্চয়ই রিপোর্টই ছিলো এবং একজন রিপোর্টার তার রিপোর্টটিকে পুরস্কার পাওয়ার উপযোগী রিপোর্ট হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাদের চেয়ে ভালো রিপোর্ট থাকায় তারা পুরস্কার পাননি- তার মানে এই নয়- তাদের রিপোর্টগুলো সেরা রিপোর্টের কাতারভুক্ত রিপোর্ট নয়। জমা হওয়া রিপোর্টের সংখ্যা অবশ্য আমি জানতে পারিনি।
পুরস্কারের সংবাদটি আমার মনে কয়েকটি প্রশ্ন তৈরি করেছে- সেগুলো একটু শেয়ার করতে চাই। এই যে আমরা সারাবছর ঢাকার সাংবাদিকতার সমালোচনা করি, দেশে কোনো সাংবাদিকতা নেই, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এখন আর হয় না, সম্ভব না বলে হা-হুতাশ করি- তারা কী এই ২২টি রিপোর্টের খবর রাখি! রাখলে আমরা কি এই ২২টি রিপোর্টকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বা নিদেনপক্ষে সাংবাদিকতা হিসেবে স্বীকার করি? আমরা কি এই ২২টি রিপোর্টের কোনা একটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছি, বলেছি, দেখো- এর নাম অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় নানা সংকট আছে, সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো পাশ কাটিয়ে অন্তত ২২ জন রিপোর্টারতো ২২টি রিপোর্ট তৈরি করতে পেরেছেন- যেগুলোকে পুরস্কৃত করা যায়, যেগুলো পুরস্কার পায়। বাংলাদেশের এই সাংবাদিকতার চেষ্টাটাও কম কী! লেখক : কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক