এ এইচ সবুজ: [২] মোবাইলে গেম খেলতে পাশে চাচির বাড়িতে যাওয়া-আসা, এরপর প্রেমের টানে সেই চাচির হাত ধরেই পালালো স্কুল পড়ুয়া ১৪ বছরের এক কিশোর। সম্প্রতি এমনি ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয় ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামে।
[৩] অয়ন (ছদ্মনাম)। এবার সে অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও পেয়েছে। বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের দেওতলা গ্রামে। বাবা সৌদি আরব প্রবাসী। দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে অয়নই সবার বড়।
[৪] এদিকে বাবা তার কষ্টার্জিত অর্থ সন্তানের জন্য দিয়ে যাচ্ছেন। আর সেই বাবার সন্তানই প্রেমের টানে বিশ (২০) বছরের এক নারীর (চাচি) হাত ধরে চলে গেছে।
[৫] শুরুতে প্রেমের টানে চাচির হাত ধরে চলে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেরি। তবে পুলিশ ওই কিশোর প্রেমিক ও চাচি প্রেমিকাকে উদ্ধারের পর বিষয়টি সামনে চলে আসে। এ ঘটনায় দুই পরিবারকেই ভাবিয়ে তুলেছে। তারা অবাক ও বিব্রত হয়েছেন চাচি-ভাতিজা কাণ্ডে।
[৬] থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় অয়ন। তারপর রোববার (২৪ অক্টোবর) পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়।
[৭] জিডির সূত্র ধরেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে তাদের ঢাকার নাখালপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় অয়নের সঙ্গে পাওয়া যায় বিশ (২০) বছরের সেই প্রেমিকা চাচিকেও। সেখানে তারা একটি ভাড়া বাসার সন্ধান করছিলো।
[৮] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অয়নের একজন স্বজন জানান, বিশ (২০) বছর বয়সী ওই নারীর স্বামী গাজীপুরে বিকাশের ব্যবসা করেন। প্রায় বছর খানেক আগে মোবাইল ফোনে এক অপরিচিত ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর চলে যান ওই নারী। পরে সেখানে ওই ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ওই ঘটনার পর মেয়ে ও স্বামীর বাড়ির লোকজনের মধ্যস্থতায় পুনরায় সংসার শুরু করেন। কিন্তু বছর না ঘুরতেই এবার ১৪ বছর বয়সী অয়নকে নিয়ে চলে যায়।
[৯] অয়ন জানায়, করোনার সময় চাচির বাড়িতে গিয়ে ওয়াইফাই দিয়ে মোবাইল ফোনে গেম খেলতো সে। এভাবে প্রতিদিন যেতে যেতে চাচি তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। পরে কিছু না বুঝেই অয়ন রাজি হয়ে যায়। চলে ৩ থেকে ৪ মাসের প্রেম। এর মধ্যে চাচিকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতেও যায় মেধাবী ওই কিশোর।
[১০] মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, থানায় নিখোঁজের জিডির অনুসন্ধানে গিয়ে তাদের রাজধানী ঢাকার নাখালপাড়া থেকে উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে তারা স্বীকার করেছে প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে। তবে এ ঘটনার পর দু’পক্ষের অভিভাবকের কাছে দুজনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি