উত্তম কুমার: [২] নতুন স্বপ্ন নিয়ে ফের গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যেতে শুরু করেছে উপকূলের জেলেরা। কেউ ট্রলার ধুয়ে মুছে পরিস্কার করছে। কেউ কেউ জালসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলছেন। কেউবা আবার মাছ শিকারে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করেছেন।
[৩] মঙ্গলবার সকালে মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ অবস্থানরত শত শত ট্রলার একের পর এক সাগরে রওনা করে যাচ্ছে। তবে জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ দেখা মিলবে এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়িরা।
[৪] জেলেরা জানান, এ বছর ভরা মৌসুমে জেলেদের জালে তেমন মাছ ধরা পড়েনি। এর পর গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন মা ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য নদ-নদী ও সাগরে মাছ শিকার বন্ধ ঘোষনা করে সরকার। এসময় ইলিশ পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে।
[৫] সোমবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে ইলিশ শিকারে উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই নতুন করে স্বপ্ন পুরনে জেলেরা এখন সাগর মুখি হয়ে পড়েছে।
[৬] মহিপুরের ট্রলার মালিক মো. মনির হাওলাদার বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে স্থবির হয়ে পড়ে ছিলো ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এতদিন জেলেরা ঘাটে ট্রলার নিয়ে অলস সময় বসে ছিলো। মা ইলিশ রক্ষায় সাগর ও নদীতে মাছ শিকার বন্ধের করানে সাগরে মাছ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি, জালে এখন বেশি মাছ ধরা পরবে। তা বিক্রি করে পরিবারে ফিরবে স্বাচ্ছন্দ্য।
[৭] মহিপুর আল্লাহরদান মৎস্য আড়ৎ সত্বাধিকারী মো. তানভির আহম্মেদ লুনা আকন বলেন, মৎস্য বন্দর মহিপুর এখন সরব হয়ে উঠেছে। জালে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পরবে এমন আশায় ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে একের পর এক ট্রলার। তবে গভীর সমুদ্র ওইসব ট্রলার মাছ বোঝাই করে ঘাটে ফিরে আসবে এমনটাই আশা করেছেন তিনি।
[৮] কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে যায় নি। আশা করছি জেলেরা ইলিশ শিকার করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
[৯] কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপুসাহা বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলেরা শতভাগ নিষেধাজ্ঞা মেনেছে। এ উপজেলায় ১৮ হাজার ৩’শ জেলেদের মাঝে সরকারী প্রনোদণা দেয়া হয়েছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে।