শিরোনাম
◈ স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধন, বয়সসীমা শিথিল করল মাউশি, রেজিস্ট্রেশনের বয়সে কঠোর বোর্ড ◈ ভূমিকম্প মোকাবিলায় জাপানের কাছ থেকে যা শিখতে পারে বাংলাদেশ ◈ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা ◈ তালাক হলেও ফিরে আসার পথ—ইসলামী বিধান অনুযায়ী করণীয় ◈ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচন দায়িত্বে নতুন এসপিদের ব্রিফ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেলো এনসিপি, প্রতীক ‘শাপলা কলি’ ◈ ক্লাসে না ফিরলে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ◈ ইসিকে তফসিল ঘোষণায় সময়সুবিধা বিবেচনার আহ্বান নাহিদ ইসলামের ◈ র‌্যাং‌কিং‌য়ের সেরা আটে মোস্তাফিজ, রিশাদ-ইমন-সাইফদের উন্ন‌তি ◈ ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ক্লাব, খেল‌বে লাতিন বাংলা সুপার কাপ

প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ০১:২১ রাত
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ০১:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালিদ খলিল: মিটফোর্ড হসপিটাল যেভাবে হলো

খালিদ খলিল
স্যার রবার্ট মিটফোর্ড প্রথম ১৮২০ সালে মিটফোর্ড হসপিটালটি প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। স্যার রবার্ট মিটফোর্ড তৎকালীন ঢাকার কালেক্টর ছিলেন এবং দীর্ঘদিন তিনি প্রাদেশিক আপীল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। তার সময়ে ঢাকাতে কলেরা ব্যাপকভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিদিন প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন মারা যেতো। মেডিকেল সুবিধা তখন খুবই অপর্যাপ্ত ছিলো।
স্যার মিটফোর্ড এই অবস্থা দেখে খুবই ব্যথিত হন। তিনি ইংল্যান্ডে মৃত্যুও (১৮৩৬) আগে উইল করে তার প্রচুর সম্পত্তি (তখনকার সময় প্রায় ৮ লাখ টাকা) এই অঞ্চলে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য নানা উন্নয়ন কর্মের জন্য তৎকালীন বাংলার সরকারকে দান করে দিয়ে যান। কিন্তু পরবর্তীতে তার উত্তরাধিকারীদের জন্য এই উইল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। কিন্তু ১৮৫০ সালে সর্ব্বোচ্চ আদালতের চ্যান্সারি বিভাগের (chancery court) রায় অনুযায়ী বাংলার সরকার মিটফোর্ডের সম্পত্তি থেকে ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা লাভ করে। পরবরর্তীতে লর্ড ডালহৌসির উদ্যোগে এই ফান্ড দিয়ে ১৮৫৪ সালে বর্তমান স্থানে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

তারও আগে এই স্থানটি ডাচ কুঠি হিসেবে ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত হত। হসপিটালটি প্রতিষ্ঠায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিও অর্থসাহায্য প্রদান করেন। তাদের মধ্যে মিসেস সন্তোশ রানী দিন্ময় চৌধুরী, মি. রায় গৌর নেতাই সাহা শঙ্খনিধি, মি. সন্তোশ রাজা মন্মোথ রায় চৌধুরী এবং বাবু প্রতাপ চন্দ্র দাশ সুপেয় পানি ও স্যুয়ারেজ প্লান্ট স্থাপনের খরচ বহন করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়