শেখ আদনান ফাহাদ: শিবিরের বড় নেতাকে ঢাকায় সচিবালয়ে ২০০৯ সালে প্রথম বদলি করে এনেছিলো ছাত্রলীগের দুই বড় ভাই। এই শিবির নেতাকে আমরা সাংবাদিক সমিতি থেকে বের করে দিয়েছিলাম। হলে যাকে শিবির নেতা বলে চিনতাম সে আওয়ামী লীগের আমলে অনেক বড় পুলিশ অফিসার, এমনকি অনেকের ভাগ্য নিয়ন্তা। পুলিশের বড় নেতা বলা যায়। হিন্দুদের ‘নাপাক’ বলে ফতোয়া দেওয়া ছেলে ছাত্রলীগের বড় পদে ছিলো। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদকে সবচেয়ে বেশি গালি দিয়েছে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের পদধারী অনেকে । সবচেয়ে খারাপ কথা বলেছেন, সাইদ খোকন, যিনি কিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মেয়র, হানিফ সাহেবের ছেলে। আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতার হাত ধরে কতো জামায়াতের লোক আওয়ামী লীগের যোগদান করেছে।
আমরা একটু প্রতিবাদ করলে বলেÑআবেগী, বেশি বুঝি, পাকনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কতো ছেলে-মেয়েকে ছাত্রলীগ থেকে পদবঞ্চিত করা হয়েছে, এটা যারা ভুক্তভোগী তারা জানে। আদর্শবিহীন রাজনীতির পরিণতি এমনই হয়। এখনো সময় আছে, আওয়ামী লীগ এবং প্রতিটি সহযোগী সংগঠনে প্রকৃত মুজিব সৈনিকদের স্থান দেওয়া হোক। কিন্তু চেনার উপায় কী? নেতা নির্বাচনের প্রধান উপায় হলো ভোট নেওয়া। কিন্তু তৃণমূলের ভোটের রেজাল্টও পরিবর্তন করে ফেলে বড় নেতারা। ঘুষের বিনিময়ে। তাহলে ভবিষ্যৎ কি শুধুই অন্ধকার? আওয়ামী লীগ ভালো না থাকলে বাংলাদেশও ভালো থাকবে না। Sheikh Adnan Fahad-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।