নিজেস্ব প্রতিবেদক: [২] রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুর কসবা জেলেপল্লীতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ২টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৩] রোববার (১৮ অক্টোবর) রাতে হিন্দু পল্লীতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই এই নাশকতার প্রতিবাদে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ঘটনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। রাত ১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
[৪] রোববার রাতে হিন্দু পল্লীতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঁইয়া, ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, র্যাব, বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সোমবার হামলা ও লুটপাটের শিকার ৭৭টি পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, শাড়ি, লুঙ্গি, কম্বল দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সকালে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদেরকে রান্না করে খওয়ানো হয়েছে।
[৫] একাধিক সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুর কসবা হিন্দু পল্লী মাঝিপাড়ার এক কিশোর ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রাত ১০টার পর বিক্ষুব্ধ জনতা কসবা হিন্দু পল্লী মাঝিপাড়ায় বসবাসরতদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাটের পর আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় হিন্দুরা জীবনের ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে আশপাশের জঙ্গল, বাঁশঝাড় ও ধানক্ষেতে আশ্রয় নেয়।
[৬] পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বিনা উস্কানিতে নিরীহদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা অনেককে গ্রেপ্তার করেছি।
[৭] জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি মেরামত করা হবে। সরকারি সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
[৮] বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করছি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদেরকে সরকারি সহায়তা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা আছে।