আবুল কাইয়ুম: শুধু অর্থ বোঝার জন্য পাঠক কবিতা পড়ে না। কবিতার ছন্দ বা শব্দমালার বিশেষ ঝংকার যেমন পাঠক-শ্রোতার মন ও কানকে আমোদিত করে, তেমনি এর চিত্রকল্প ও শব্দকল্প পাঠকের দৃষ্টির সঙ্গে মনকেও মোহিত করে। সবচেয়ে বড় কথা, কবিতার রসমাধুরী ও আবেগ মানুষের প্রাণকে আলোড়িত ও উজ্জীবিত করে। দুর্বোধ্য কবিতার পাঠক কম, সত্য। তবে এমন অনেক কবিতা আছে যেগুলো আপাতদৃষ্টিতে দুর্বোধ্য মনে হয়, কিন্তু একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লে সেগুলো হৃদয়ঙ্গম করা যায়। অবশ্য কবিতার পাঠোদ্ধারের ব্যাপারটি সকলের পক্ষে একইরকম আয়াসসাধ্য নয়। আর কিছু কবিতা আছে দুরূহ, যেগুলোর ভেতরে ঢোকার জন্য গোয়েন্দাগিরি করেও কাজ হয় না। স্বভাবতই এসব কবিতা পাঠকপ্রিয়তা পায় না।
কবিতা নামের খাপছাড়া বাক্যের জট নিয়ে পাঠকেরও তেমন হাঁসফাঁস নেই। সহজ-সরল কবিতারই পাঠক বেশি হয়। আবার কবি যদি পাঠকের হৃদয়ের চাহিদা ও অভিব্যক্তির সঙ্গে মিশে যেতে না পারেন, যদি তার অপরিচিত অনুষঙ্গ নিয়ে মাতেন কিংবা জনসম্পর্কহীনভাবে অহংতাড়িত হন- সেক্ষেত্রে কবিতা সহজবোধ্য, অলংকৃত ও ছন্দবদ্ধ হলেও অনেকাংশে পাঠক হারায়। শেষ কথা, পাঠকের বোধের কাছে, তার হৃদয়াবেগের কাছে, যুগ, জগৎ ও জীবনের আকাক্সক্ষার কাছে, সর্ব সুন্দরের কাছে এবং সর্ব প্রেমের কাছে নিজেদের সমর্পণ করেই এই পৃথিবীর যতো কবি জনপ্রিয় হয়েছেন। আবুল কাইয়ুম-এর ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।