গোলাম মোর্তোজা: ১. উড়োজাহাজ যতক্ষণ পর্যন্ত আকাশে না উড়ল, ততক্ষণ পর্যন্ত এসি ছাড়লো না। উড়োজাহাজের বাইরে তীব্র রোদ, উত্তপ্ত গরম।উড়োজাহাজের ভেতরের অবস্থাও তেমনই। বলছি গত ১০ অক্টোবরের ঢাকা-চেন্নাই ফ্লাইটের কথা।
২. উড়োজাহাজের এক কর্মী বললেন ‘গ্রাউন্ড পাওয়ার’-এ চলছে।তাই এসি ছাড়া যাচ্ছে না।আকাশে উড়লেই এসি ছাড়া হবে।গরমে উড়োজাহাজের যাত্রীদের অস্থিরতা বাড়ছে।আরেক কর্মী এসে বললেন,এসি ছাড়া আছে।উড়োজাহাজ আকাশে উড়লেই ঠান্ডা হয়ে যাবে।
৩. ইউএস বাংলার কর্মীরা এভাবে ছেলে ভুলানো মিথ্যা কথা বলে গেলেন অনর্গল।
৪. উড়োজাহাজ যাত্রী ভর্তি, একটি আসনও খালি নেই।অন্য সময় ওয়ানওয়ে টিকেটের দাম থাকে ৭-৮ হাজার টাকা।সেই টিকেটের দাম এখন ১৩-৩০ বা ৩৫ হাজার টাকা।ফ্লাইটের অধিকাংশ যাত্রী রোগী,বয়স্ক।অনেকে বোরকা পরিহিত।
৫. ফ্লাইট ছাড়ার সময় ছিল সকাল ১০.৩০ মিনিট।পৌণে ১০টা থেকে যাত্রীদের উড়োজাহাজে তুলতে শুরু করেছে।১১.১০ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়েছে। প্রায় ঘন্টা দেড়েক তারা যাত্রীদের দুর্বিসহ দমবন্ধ গরমে কষ্ট দিলো।
৬. প্রতি ফ্লাইটেই নাকি ইউএস বাংলা এই ‘অপরাধমূলক প্রতারণা’ করছে।অথচ দেখার কেউ নেই! বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত কোনো বেসরকারি এয়ারলাইন্স টিকলো না। সেবার পরিবর্তে প্রতারণা করে ব্যবসা টেকানো যায়?