আফসান চৌধুরী: মানস চৌধুরী তার পিএইচডি থিসিস নিয়ে আলাপ করলেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যাপক আহরার আহমেদ ছিলেন অনুষ্ঠানের মূল চালকের ভ‚মিকায়। মানসের একাডেমিক কাজটা যে একাডেমিয়া ধারণ করতে পেরেছে সেটা বলা যায় না কারণ মূলধারার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার ভাবনা হাঁটে না।
[২] আমার কাছে বিষয়ের চেয়ে যে প্রশ্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সে তার অনুসন্ধান করেছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। ক্ষমতা, জনকল্পনা এবং তার নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে এ দেশে খুব বেশি কাজ হয় না। এমনকি আমরা যাকে রাজনৈতিক ক্ষমতা বদল বলি বা ভাবী তার ভেতরকার দ্বদ্ব, মিল, কলাকৌশল ও পদ্ধতি কীভাবে এক পরিসরের সঙ্গে অন্য পরিসরের সম্পর্ক রাখে তার খুবই পরিপক্ক আলোচনা হলো আজ। মিডিয়া থেকে সেলফিন উচ্ছেদ অভিযান থেকে সিনেমার নায়কের চরিত্র কীভাবে রাজনীতির বাস্তবতার সঙ্গে পাল্টায় তার বিবরণ দিলো মানস।
[৩] সেটার বই হয়নি তবে পাঠ করে কয়জন আনন্দ পাবেন বলা যাচ্ছে না। কারণ সনাতনী রাজনৈতিক বিশ্লেষণের বদলে সেটা এসেছে হেজেমনের পাঠ হিসেবে। কার চেহারা আছে তার অনুসন্ধানে, কে বাদ গেছে এবং কেন এই বিশ্লেষণের কাঠামো থেকে না নিজ অবস্থান নিয়ে বসে আছে তার চমৎকার আলোচনা। মনে হয়েছে এই প্রশ্নহীন সমাজে মানস প্রশ্ন করেই যাচ্ছে, নিজেকেসহ সবাইকে। ধন্যবাদ মানস , অসাধারণ কাজ। লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
আপনার মতামত লিখুন :