শিমুল মাহমুদ: [২] আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য’। বিশ্বে করোনার কারণে অসমতা বাড়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৩] প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার মানসিক চাপকে আরও বাড়াচ্ছে বলেও মত তাদের। এক বাণীতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে আরও মনোযোগী হওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্তরা বিশ্বাসের প্রতিবেদন।
[৪] মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ১৬ দশমিক ১ ভাগ মানসিক রোগে ভুগছেন। আর আঠারো বছরের কম বয়সীদের এ হার ১৮.৪ শতাংশ।
[৫] মানসিক রোগ সামাজিক বা পারিবারিকভাবে এখনও অবহেলিত। কিন্ত গবেষণা বলছে, দিন দিন এতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের বিভিন্ন গবেষণা বলছে, করোনা মহামারির মধ্যে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের ৫৮ ভাগ বিষন্নতায়, প্রায় ৬০ ভাগ মানসিক চাপ এবং ৩৪ ভাগের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা শিক্ষার্থীদের বেলায়ও এই হার আশঙ্কাজনক বেড়েছে।
[৬] মনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় রোগী যখন একবারে চূড়ান্ত অবস্থায় চলে যায়, আগ্রাসী আচরণ বা ঘরে ভাঙচুর করে তখনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে শুরুতেই যাতে মনের যতœ নি এবং মানসিক রোগের লক্ষণগুলো দেখার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে কোনরকম কুসংস্কার বিশ্বাস না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
[৭] মানসিক বিকাশ না হলে পারিবারিক প্রাতিষ্ঠানিক বা সমাজের কোন ক্ষেত্রেই মানুষ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন না। তাই ছোটবেলা থেকেই সমন্বিতভাবে সুস্থ মানসিক বিকাশের ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৮] মনরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, মানসিকভাবে কেউ যদি ফিট না থাকে বা অসুস্থ থাকে তাহলে সে কোন কাজই ভালোভাবে করতে পারবেনা। সে কর্মক্ষম হিসেবে চাকরিক্ষেত্রে অংশ নিলেও ভালো কিছু করতে পারবে না। পরিবারের কাছেও সে একটা বোঝা হয়ে থাকবে।
শহর কিংবা গ্রামে মানুষের মাঝে হিংসা বা ক্রোধ ভুলিয়ে সঠিক মনোবিকাশে পরিবার থেকেই উদ্যোগ নেয়ার ওপর জোর দেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :