শর্বাণী দত্ত: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার তেমন কোনো আবেগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজন নিয়েও যে খুব বেশি আছে, তা নয়। গত সপ্তাহে আমাদের পরীক্ষা চলাকালীনই শুনলাম ডিপার্টমেন্টের ভীষণ মেধাবী একজন সিনিয়র চলে গেছেন। আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে হয়, যদিও এতো প্রাণময়, দারুণ রেজাল্ট করা ভালো মানুষের এতো শূন্যতা কোথায় ছিলো চট করে বলতে পারা কঠিন। অপু ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ডিপার্টমেন্ট থেকে একটা কাভার ফোটো সবাই দিলো, আমিও দিলাম। এর মধ্যে কখন জানি ফেসবুকে ভুল করে কারোর একটা উগ্র ইসলামিক পোস্টেটোস্টে হা হা দিয়ে ফেলেছিলাম। কমেন্টও করিনি।
অপু ভাইয়ের মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা দেখাতে যে ছবিটা কাভারে দিলাম, তাতেসহ আমার পুরো প্রোফাইলজুড়ে মহালয়ার গানে, আমার বাবার সঙ্গে আমার ছবিতে, একজনের মৃত্যু সংবাদে সবখানে শত শত হা হাতে ভরে গেলো। সংঘবদ্ধ হয়ে সবাই হা হা দিয়ে যাচ্ছে। এর আগে গায়ে মাখিনি, হঠাৎ দেখলাম অপু ভাইয়ের ছবিটায় ১৫০ মতো হা হা। মানে বেশিরভাগই। ভাবতে অদ্ভুত কষ্টমাখা অনুভ‚তি হয়, লজ্জাও হয় আবার নিজের ওপর করুণাও হয় যে এরকম বীভৎস একটা দেশে আমাকে জন্মাতে হলো এবং এখানেই হয়তো আমাকে আজীবন কাটিয়ে দিতে হবে এবং এরপরেও ৯৬ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমরা যে প্রাণ নিয়ে আছি, ‘ভারতের সংখ্যালঘুদের চেয়ে ভালো আছি (?)’ এসব ‘প্রিভিলেজ’ নিয়েই টিকে থাকতে হবে। ফেসবুক থেকে