জেরিন আহমেদ: [২] নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে তাদের মেয়াদে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
[৩] জাজিরা উপজেলার পদ্মা নদীর পালেরচর, বাবুরচর, কুণ্ডেরচর এলাকায় অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, র্যাব ও পুলিশ। অভিযানে মা ইলিশ শিকারের অপরাধে ২৮ জেলেকে আটক করা হয়।
[৪] তাদের ২১ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ। পরে পুলিশ তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।
[৫] বৃহস্পতিবার নড়িয়া উপজেলার পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় তিন জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিন জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
[৬] চার দিনে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও র্যাব নদীতে ৪৬টি যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, আর মামলা করা হয়েছে ৩৫টি।
[৭] জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, ‘পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৭১ কিলোমিটার নদীপথ। দীর্ঘ এ নদীতে আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলেরা মা ইলিশ শিকার করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে জেলেদের আটক করে জাল ও নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে।’
[৮] ইলিশ মাছের প্রজনন ও মা ইলিশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের নদ-নদীতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য সম্পদ বিভাগ। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ