ইমরুল শাহেদ: বিভিন্ন ধরনের সংকটের কারণে দেশে সিনেমা হলের দ্রুতই কমে গেছে। একদিকে মহামারি, অন্যদিকে এনালগ থেকে চলচ্চিত্রের ডিজিটাল যুগে প্রবেশ বড় ধরনের ঝাঁকুনি। এখন তেরশ’ সিনেমা হল থেকে শ’য়ের কোঠায় এসে ঠেকেছে। এই নিয়ে চলচ্চিত্রশিল্পে যখন হতাশা নেমে এসেছে তখনই পাওয়া গেল একটা সুখবর। চলচ্চিত্রশিল্পকে রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দেশজুড়ে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেই ৬৮টি অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। আর বেসরকারি পর্যায়ে স্টার সিনেপ্লেক্স দেশজুড়ে আধুনিক প্রযুক্তির সিনেমা হল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
এত দিন ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার ঢাকার বাইরে সিনেপ্লেক্স চালু করা হবে। এই উদ্যোগে প্রথমে বগুড়ায় চালু করা হচ্ছে সিনেপ্লেক্স। পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, রাজশাহী ও সৈয়দপুরে নির্মিত হবে স্টার সিনেপ্লেক্স। আবার দেশজুড়ে নিম্ন আয়ের মানুষের বিনোদনের জন্য সিনেমা হল চেইন চালুর পরিকল্পনাও নিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স। স্টার সিনেপ্লেক্সে বাংলাদেশের ছবি কত ভাগ প্রদর্শিত হবে জানতে চাইলে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘আমাদের দেশে যে মানের ছবি নির্মাণ করা হচ্ছে তার বেশির ভাগ সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শনযোগ্য নয়।
এর কারণ প্রযুক্তিগত ত্রুটি, সাউন্ড কোয়ালিটি, কালার রেজল্যুশন। ভালো গল্পের আন্তর্জাতিক মান মেনে ছবি নির্মাণ করা হলে সব প্রদর্শিত হবে। এর জন্য দরকার সিনেমার জন্য ভালো গল্প এবং বাজেট। তাহলেই দেশে ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব।’ নির্মাতারাও বাধ্য প্রযুক্তিগত ত্রুটিগুলো কাটিয়ে উঠতে। বাংলাদেশ সিনেমা হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এক হাজার কোটি টাকা দিচ্ছেন। এটি ব্যাংক লোন নয়, তহবিল থেকে প্রণোদনা। অনেকে এই অর্থ নিয়ে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করবে। শ্রীনগরে আমার সিনেমা হল স্বপ্নপুরী। এটিতে এবার আমি অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত করে নতুন করে চালু করব।’