সোহেল রহমান: [২] ই-কমার্স জন্য নতুন কোনো আইন বা কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে কি না- তা জানার জন্য কমপক্ষে আরও এক মাস অপেক্ষা করতে হবে। ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন পর্যালোচনা করে নতুন কোনো আইনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে মতামতের জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত এ কমিটি বিচার-বিশ্লেষণ করে যে প্রতিবেদন ও সুপারিশ দেবেÑ তার ওপর নির্ভর করছে নতুন আইন বা কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে কি না।
[৩] মঙ্গলবার সচিবালয়ে ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা কমিটি’র প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) ও ‘ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা কমিটি’র আহ্বায়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
[৪] তিনি বলেন, ডিজিটাল ই-কমার্স আইন হবে কি না, সেটাই ছিল আজকের আলোচনার মূল বিষয়। আমাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন আছে, প্রতিযোগিতা কমিশন আইন আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে। বিদ্যমান আইনগুলো সংশোধন করে নতুন কোনো ধারা-উপধারা সংযোজনও হতে পারে।
[৫] সফিকুজ্জামান বলেন, উপ-কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক থাকবে, ভোক্তা অধিকারের প্রতিনিধি, কম্পিটিশন কমিশনের প্রতিনিধি, লেজিসলেটিভ ডিভিশনের প্রতিনিধি, এটুআই প্রতিনিধি, এফবিসিসিআই প্রতিনিধি, ই-ক্যাব ও বেসিসের প্রতিনিধি থাকবে।
[৬] ই-কমার্সের বর্তমান দুরবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে ক্ষতি হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এটা আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ডিজিটাল সেল আছে। সেলটি একটি এসওপি করেছে। সেটা একটা গাইডলাইন। ফলে সেখানে আইন প্রয়োগের সুযোগ কম। এসওপি প্রয়োগের জন্য যে লিগ্যাল অথরিটি সেটা থাকে না। তাই ডিজিটাল কমার্সকে শক্তিশালী করতে সাব-কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ নয়, মনিটরিং করা হবে।
[৭] আলিশা মার্ট বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করছে, এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না- জানতে চাইলে সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের গত ২২ সেপ্টেম্বর যে মিটিং হয়েছিলো সেখানে পাঁচ নম্বর সিদ্ধান্ত ছিলো, ডিজিটাল কমার্সের সব বিজ্ঞাপনে সতর্কীকরণ ট্যাগ যুক্ত করতে হবে।
[৮] ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে জেনেছি, এরই মধ্যে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ফুলটাইম এটা নিয়ে কাজ করছি। আমার অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি, কী বিজ্ঞাপন যাচ্ছে তা দেখে রিপোর্ট দিতে। পরে আমরা রিভিউ করবো।
[৯] ই-কমার্স বিষয়ে তিনি বলেন, যেগুলো ভালো কোম্পানি সৎভাবে ব্যবসা করছে, আমরা তাদের সুযোগ দিতে চাই। তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে চাই না। তবে আমরা এখন নিয়ন্ত্রণ করার চিন্তা করছি। তাদের আমরা স্পেস দিয়েছি। ই-কমার্সে ভালো অনেক কোম্পানিও রয়েছে, যেখানে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, করোনাকালীন বিশাল সংখ্যক মানুষ কাজের সুযোগ হয়েছে।
[১০] বৈঠকে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার ও ব্যারিস্টার তানজীব উল আলমসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
[১১] এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে কমিটির আহ্বায়ক এবং উপ-সচিব (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলীকে সদস্যসচিব করা হয়। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও