এ এইচ সবুজ: [২] চঞ্চলতায় ভরপুর বাছুরটির নাম রাখা হয়েছে টুনটুনি। কারণ সে টুনটুনি পাখির মতোই চঞ্চল। এজন্য কৃষক আবুল কাশেমের ছেলে তার নাম রেখেছে টুনটুনি। সম্প্রতি গিনেস রেকর্ড গড়া সাভারের রানীর মতই খর্বাকৃতির দেহাবয়ব বাছুরটির। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর রেকর্ডধারী রানী মারা গেছে সম্প্রতি।
[৩] ৪৩৬ দিন বয়সী টুনটুনির মাঝে অনেকেই রানীর বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছে। বাছুরটির উচ্চতা ২১ ইঞ্চি। ওজন মাত্র ২২ কেজি।
[৪] এদিকে টুনটুনি নামের বাছুরের জন্ম হয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রামের আবুল কাশেমের রাড়িতে। গত বছরের ৮ ভাদ্র জন্ম নেয় বাছুরটি। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন ওজন মাপার স্কেল ও ফিতা নিয়ে ওই গ্রামের কৃষকের বাড়িতে উপস্থিত হন। সাদা রঙের বাছুরটির দৈর্ঘ্য, পরিধি ও ওজন মাপা হয়।
[৫] দেশি জাতের এই বাছুরটির উচ্চতা, বয়স ও ওজন বিবেচনায় এটি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়া সাভারের রানী নামের খর্বাকৃতির গরুর চেয়ে কিছু পাথর্ক্য আছে। রানীর ওজন ছিল ২৬ কেজি। টুনটুনির ওজন মাত্র ২২ কেজি। রানীর উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি, টুনটুনির উচ্চতা ২১ ইঞ্চি।
[৬] বাছুরটির শারীরিক গঠনের কারণে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের কাছে খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে।
[৭] কৃষক আবুল কাশেমের স্ত্রী জরিনা জানান, কিছুটা খরগোশের মতো ছোট আকৃতির হয়ে জন্ম নেয় বাছুরটি। জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি দ্রুত হাঁটতে শুরু করে। এত ছোট আকৃতির বাছুর তারা এর আগে এলাকায় কেউ দেখেনি। প্রায় প্রতিদিন সবাই বাছুরটিকে দেখতে ভিড় করে।
[৮] টুনটুনির বিষয়ে গরুর মালিক আবুল কাশেম জানান, দেশী জাতের আমার গাভীটি এর আগেও বেশ কয়েকটি বাচ্চা দিয়েছে। কিন্তু সেগুলো স্বাভাবিক ছিল। এই বাছুরটি ছোটো বামন আকৃতির হয়েছে।
[৯] শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান পলাশ জানান, আমরা বাছুরটির বিষয়ে সরাসরি খোঁজ নিবো। শুনেছি এর ওজন তুলনামূলক অনেক কম। এটি রেকর্ড গড়ার মতো হলে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করব। সম্পাদনা: হ্যাপি