রাশিদ রিয়াজ : তাকওয়া বা খোদাভীতির তুলনায় মুসলমানদের কাছে ট্রিলিয়ন ডলার কিছু না। ট্রিলিয়ন মানে এক লাখ কোটি। ধরুন আপনার কাছে ট্রিলিয়ন ডলার আছে। এটা যদি কুক্ষিগত সম্পদ হিসেবে আপনি ব্যবহার করেন তাহলে এ সম্পদই আপনার জন্যে সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে পারলে তবেই না সম্পদ, নাহলে তা আপদ হয়ে উঠতে পারে। এখন তাকওয়াকে কেনো সম্পদের সঙ্গে আমি তুলনা করছি তার মানে হচ্ছে তাকওয়া থাকলে যে কোনো ব্যক্তি ইচ্ছে মত তার সম্পদ অপব্যবহার করতে পারবে না। আল্লাহ স্বয়ং আপনার কাছে ঋণ চেয়েছেন যা তিনি অনেক গুণ বেশি আপনাকে পরকালে ফেরত দেবেন, এমনকি ইহকালেও। বস্তুত জান ও মালের মালিক যে আল্লাহ তা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তাকওয়া না থাকলে মুসলিমদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে পারবেন না। বরং আপনার জীবন ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যেতে বাধ্য। আপনার অঢেল সম্পদ কিন্তু আপনার ভেতরে শুণ্যতা ও হাহাকার বাসা বেঁধে আছে। আপনার অসংখ্য গাড়ি, অনেকগুলো ফ্লাট, ব্যাংকে অঢেল টাকা কিন্তু তারপর কি, তারপর আরো সম্পদ, কিন্তু তারপর কি? বরং আপনার তাকওয়া নাই বলেই আপনি যে কোনো অন্যায়, অবিচার, নিষ্ঠুরতা, বিশ্বাসঘাতকতা, দুর্নীতি এমনকি এহেন কাজ না আছে যা আপনার খুশি তাই করতে পারেন। টাকা আপনার কাছে ক্ষমতার মানদণ্ড হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে আপনি এক বিকৃত সুখ পেতে থাকেন। এইযে যা খুশি তাই করা এটাই তাকওয়ার অভাবে আপনি করতে পারেন। আমার টাকা আমার খুশি যা করব তাতে কার কি? যেভাবে খুশি সেভাবে ভোগ করব তাতে কার কি? এবং কিছু ভাল কাজ করে বাকি মন্দ কাজগুলোকে আপনি সকলের কাছে ইতিবাচক করে তুলতে বা তেমন কিছু নয় বলে ধোঁয়াশা তৈরি করতে পারেন। আর টাকা থাকলে আইনের মধ্যেও অনেক ফাঁক ফোকর তৈরি করা যায়। কিন্তু তাকওয়া থাকলে আপনি তা পারবেন না। সমাজ ও মানুষের প্রতি আপনার দায়িত্ববোধ তৈরি করে তাকওয়া। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভয় আপনাকে পেয়ে বসতে বাধ্য নিছক তাকওয়ার গুণে।
তাকওয়া আপনাকে অসৎ পথ থেকে ফিরে আসতে সাহায্য করবে। এটি আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু, বড় অস্ত্র। খুবই নির্ভরযোগ্য। আপনি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। সত্যবাদিতা, সততা, ইনসাফ, ন্যায্য বিচার যত রকমের গুণাবলী আছে তার আঁতুর ঘর হচ্ছে এই তাকওয়া। তাকওয়ার অঙ্কুরোদগম থেকেই এসব গুণাবলীর এক একটি চারাগাছ আপনার মন ও মানসে বেড়ে উঠতে উঠতে ডালপালা গজিয়ে মহীরুহ হয়ে দাঁড়ায়। অবচেতন মনেই আপনি পাপের কিনারা থেকে সরে আসবেন। আপনার স্বভাব, আপনার লেনদেন, পারস্পরিক সম্পর্ক এসব গুণাবলীর ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেলে আপনি নিজের মধ্যে অকৃত্রিম এক শক্তি অনুভব করতে পারবেন। আপনি অবাক হবেন পেছনে ফিরে যে কি অসাধ্য সাধনই না আপনি করছেন।
যখনই তাকওয়া আপনার কাছে সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে তখনি আপনি আল্লাহ কি বলেছেন তা অনুসরণ করতে শুরু করবেন। যা করতে বলেননি তা করা থেকে বিরত থাকবেন। তাকওয়া এক্ষেত্রে আপনার সেফগার্ড হিসেবে কাজ করবে। তাকওয়া আপনার রক্ষাকবচ। আপনার সব কাজ পবিত্র হয়ে উঠতে শুরু করবে। তাকওয়ার চারা আপনার মনের মধ্যে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে, তার ডালপালা গজিয়ে উঠছে। স্বার্থপরতা, ভোগ-বিলাস, কামনা-বাসনা যা লালসার কাছে আপনাকে আগে টেনে নিত তা এখন অসহ্য মনে হবে। আপনি সরে আসবেন। তাকওয়ার কারণে আপনি বারবার খোদার কাছে সাহায্য চাইতে থাকবেন। আপনি এক পা খোদার দিকে আগালে খোদা আপনাকে টেনে তুলবেন। এটা তারই ওয়াদা। আপনি আপনার কোন কাজটি বৈধ ও কোন কাজটি অবৈধ তা সুস্পষ্টভাবে পার্থক্য করতে পারবেন। আপনার গন্তব্য আপনার কাছে পরিস্কার হয়ে উঠবেন। আপনি চট্টগ্রাম যেতে চাইলে অবশ্যই ময়মনসিংহের ট্রেনে উঠে বসবেন না।
স্বার্থপরতার কারণে কখনোই অপরের অধিকার হরণ করবেন না। একটু ভাবুন জমিজমা নিয়ে আমাদের প্রায় প্রতিটি পরিবারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে। মামলা পর্যন্ত গড়াচ্ছে। এক সঙ্গে যে ভাইবোন বড় হয়েছেন, তারাই সম্পদের কারণে একে অপরকে দেখতে পারছেন না। মা দূরে সরে যাচ্ছে। সন্তান পর হচ্ছে। এই পারিবারিক ও সামাজিক বিপর্যয় আপনাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরছে। আপনি বিভ্রান্তির বেড়াজালে আটকা পড়ছেন। দেখুন সম্পদই আপনার যন্ত্রণায় পরিণত হচ্ছে। একপর্যায়ে এভাবে আমরা বিপথগামি হয়ে পড়ছি। যে মেধা, যে মননশীলতা, যে জ্ঞান আমরা অর্জন করেছি তা আর মানবকল্যাণে কাজে লাগাতে পারছি না। ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আমাদেরকে গঠনমূলক কাজ থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। আমরা আমাদের জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারছি না। সত্য ও নৈতিকতার পরিবর্তে নিজের স্বার্থকেই আমরা আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে অনুসরণ করছি। নানারকম ফ্যাসাদে আমরা জর্জরিত হয়ে পড়ছি। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতিগতভাবে আমাদের আচরণ আমাদের সম্পদের অপব্যবহার আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? কারণ তাকওয়া আমাদের মন থেকে উধাও হয়ে গেছে। পাহাড় সমান বৈষম্যের মধ্যে অবস্থান করে জীবনের জয়গান গাওয়ার মিথ্যা চেষ্টা করছি।
আবার দেখুন এই ধরনের জীবন আমাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এক ধরনের হতাশা তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটির অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা বিষণ্নতায় ভুগছেন তাদের পরবর্তী জীবনে ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা ৭৩ শতাংশ বেশি। গবেষকরা ২০ থেকে ৮৯ বছরের ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী বেছে নেন। তাদের মনে কেনো বিষণ্নতা বাসা বাধছে তা খতিয়ে দেখা হয়। এরপর গবেষকরা একটি বয়সন্ধিকাল মডেল তৈরি করেছেন যা তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত হতাশাজনক লক্ষণগুলির গড় গতিপথের পূর্বাভাস দেয়। দেখা যায় বয়সন্ধিকালের প্রথম দিকে বিষণ্নতর লক্ষণগুলো শুরুর ১০ বছর পরেও ডিমেনশিয়া আকারে শারীরিকভাবে প্রকাশ পেতে শুরু করে। তার মানে অর্থই সকল সুখের মূল ধারণা এভাবে অর্থই সকল অনর্থের মূলে রুপান্তরিত হয়।
কিন্তু তাকওয়া আপনি পেতে পারেন একেবারে নিখরচায় বিনামূল্যে। এটি হচ্ছে খোদার সঙ্গে আপনার সম্পর্কের বিকাশ। আপনি চাইলে তা আপনার মনে বাসা বাধবে আর আপনকে যাবতীয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে। তাকওয়ার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে খোদাভীতি, পরহেযগারী, বিরত থাকা, আত্মশুদ্ধি। আর শরীয়তের পরিভাষায়- আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে তার বিধি-বিধান মেনে চলার নাম তাকওয়া। তাকওয়া সম্পর্কে আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক খোদাভীরু। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত।’ (হুজরাত ১০)
‘হে ঈমানদার লোকেরা! আল্লাহকে ভয় কর এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যেন লক্ষ্য করে যে, সে আগামী দিনের জন্য কি সামগ্রীর ব্যবস্থা করে রেখেছে। আল্লাহকেই ভয় করতে থাক। আল্লাহ নিশ্চয়ই তোমাদের সেসব আমল সম্পর্কে অবহিত যা তোমরা কর।’ (হাশর ১৮)
‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর, তাকে যেরূপ ভয় করা উচিত। তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ (আল ইমরান ১০২)
‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবল ইলম সম্পন্ন লোকেরাই তাকে ভয় করে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তিশালী ও ক্ষমাকারী।’ (ফাতির ২৮)
‘আল্লাহ তো তাদের সঙ্গে রয়েছেন, যারা তাকওয়া সহকারে কাজ করে এবং ইহসান অনুসারে আমল করে।’ (নাহল ১২৮)
‘আর সফলকাম হবে ওইসব লোক যারা আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম পালন, আল্লাহকে ভয় করে এবং তার নাফরমানী হতে দূরে থাকে।’ (নূর ৫২)
‘যারা নিজেদের অদৃশ্য আল্লাহকে ভয় করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও অতিবড় সুফল।’ (মূলক ১২)
‘হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা যখন পরস্পরে গোপন কথা বল, তখন গুনাহ, বাড়াবাড়ি ও রাসূলের নাফরমানির কথাবার্তা নয়, বরং সৎ কর্মশীলতা ও আল্লাহকে ভয় করে চলার (তাকওয়ার) কথাবার্তা বল এবং সেই আল্লাহকে ভয় করতে থাক যার দরবারে তোমাদেরকে হাশরের দিন উপস্থিত হতে হবে।’ (মুজাদালা ৯)
‘যেসব কাজ পূণ্য ও ভয়মূলক তাতে একে অপরকে সাহায্য কর, আর যা গুণাহ ও সীমা লংঘনের কাজ তাতে কারো একবিন্দু সাহায্য ও সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় কর, কেননা তার দণ্ড অত্যন্ত কঠিন।’ (মায়েদা-২)
তাকওয়া সম্পর্কে হাদীস : আতিয়া আস-সাদী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোন ব্যক্তি পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা যেসব কাজে গুণাহ নেই তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত খোদাভীরু লোকদের শ্রেণীভুক্ত হতে পারে না। (তিরমিযি ও ইবনে মাজা)
আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে আয়েশা। ছোটখাট গুণাহর ব্যাপারেও সতর্ক হও। কেননা এ জন্যও আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। (ইবনে মাজা)
ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর নির্ধারিত রিযিক পূর্ণমাত্রায় লাভ না করা পর্যন্ত কোন লোকই মারা যাবে না। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর এবং বৈধ পন্থায় আয় উপার্জনের চেষ্টা কর। রিযিকপ্রাপ্তিতে বিলম্ব যেন তোমাদেরকে অবৈধ পন্থা অবলম্বনে প্ররোচিত না করে। কেননা আল্লাহর কাছে যা কিছু রয়েছে তা কেবল আনুগত্যের মাধ্যমে লাভ করা যায়। (ইবনে মাজা)
হাসান ইবনে আলী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জবান মুবারক হতে এই কথা মুখস্থ করে নিয়েছি, যে জিনিস সংশয়ের মধ্যে ফেলে দেয় তা পরিত্যাগ করে যা সন্দেহের ঊর্ধ্বে তা গ্রহণ কর। কেননা সততাই শান্তির বাহন এবং মিথ্যাচার সন্দেহ সংশয়ের উৎস। (তিরমিযি)
এ লেখার শেষে আমি দুটি গল্প বলে শেষ করছি। একবার মুসা (আ:) তার অনুসারীদের নিয়ে দ্বীনের দাওয়াতে বের হন। পথিমধ্যে একটি স্বর্ণের তৈরি ইট পড়ে থাকতে দেখে তার তিনজন অনুসারি অসুস্থ হওয়ার ভান করেন। তারা আর মুসা (আ:)এর সঙ্গে যেতে চাইছিলেন না। মুসা (আ:) তাদের বলেন দেখ স্বর্ণের ইটটি আর কিছুই নয়, এটি দুনিয়ার মোহ। কিন্তু ওই তিন ব্যক্তি থেকে যান। এরপর তাদের মনে লোভের সৃষ্টি হয় ইটটি কিভাবে তাদের একজনই পেতে পারে। নিজেদের মধ্যে তারা এ নিয়ে শলাপরার্শের পর পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েন কিন্তু কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেন না। তিনজনের একজনকে টাকা দিয়ে অপর দুই ব্যক্তি কিছু খাবার কিনে আনতে বাজারে পাঠান। ওই ব্যক্তি বাজারে গিয়ে খাবার খান এবং খাবার কিনে তাতে বিষ মিশিয়ে ফিরে আসেন। ইতিমধ্যে দুই ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নেন বাজার থেকে ওই ব্যক্তি ফিরে আসলেই তাকে হত্যা করা হবে। ফলে ইটটি তারা সমান দুই ভাগে ভাগ করে নিতে পারবেন। বাজার থেকে ব্যক্তিটি ফিরে আসলে কেনো এত দেরি হল তা জানতে চান এবং বিতর্কের এক পর্যায়ে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। এরপর ক্ষুধার্ত দুই ব্যক্তি বিষমিশ্রিত খাবার খেয়ে মারা যান। আগেই পিটিয়ে মেরে ফেলা ব্যক্তিটি চেয়েছিলেন ইটটি একাই নিতে। কিছুক্ষণ পর মুসা (আ:) ওই পথে ফিরে এসে তার অনুসারীরাও দেখতে পান স্বর্ণের তৈরি ইটটির পাশেই তিন ব্যক্তি মৃত পড়ে আছে।
দ্বিতীয় গল্পটি হচ্ছে, এক বাদশাহ সারাজীবন সৎ শাসন ও ন্যায় বিচারের পর নিজের জন্যে এক বস্তা স্বর্ণ সঞ্চয় করতে সমর্থ হন। মৃত্যুর পর তার ওসিয়ত অনুযায়ী তাকে স্বর্ণের বস্তা সহ কবর দেওয়া হয়। পরকালে দেখা যায় ওই বস্তা মাথায় করে তিনি বেহেশতের দিকে ছুটছেন। হঠাৎ বেহেশতের প্রহরী তার কাছে জানতে চান বস্তায় কি? বাদশাহ বলেন এটি আমার সারাজীবনের সঞ্চয়। ফেরেশতা বেহেশতের দরজা দিয়ে তাকে উকি দিতে বললে বাদশাহ দেখেন সেখানকার রাস্তা, ফুটপাত দুনিয়ার ওই স্বর্ণের চেয়ে অধিক মূল্যবার ধনরত্ন দিয়ে সাজানো। স্বর্ণের তৈরি অট্টালিকা দেখে বাদশাহ তার স্বর্ণের বস্তা দূরে ফেলে দিয়ে বেহেশতে প্রবেশের জন্যে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।