শরীফ শাওন: [২] দেশের খামারিদের স্বার্থ রক্ষার্থে এমন দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। সয়াবিন মিল রপ্তানির সরকারি সিদ্ধান্তে স্থানীয় সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সিডের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি করেছে। তারা সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধ ঘোষণা দ্রুত দেওয়া দরকার।
[৩] সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে 'সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধ করুন, ডেইরি পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্প রক্ষা করুন' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন এসব কথা বলেন।
[৪] ইমরান হোসনে জানান, দ্রুতসময়ে সিড রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত না নিলে দেশের পোল্ট্রি ও মৎস্যসহ প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্য দাম বেড়ে যাবে। এতে করে খামারিরা বড় ধরনের লোকসানে পড়বে। তাই সয়াবিন মিল রফতানি দেশের জন্য হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
[৫] বর্তমানে দেশে সয়াবিন সিডের চাহিদা মেটাতে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ আমদানি করতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত, আমেরিকা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। আমাদের দেশে সয়াবিন সিড এর মোট চাহিদা বছরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। দেশিয় সয়াবিন তৈল উৎপাদকারি প্রতিষ্ঠান হতে আসে ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ।
[৬] ডিম, মাছ, মুরগি উৎপাদনে মোট খরচের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ খরচই হয় ফিড কেনা বাবদ। তাই ফিডের দাম বাড়লে খামারিদের উৎপাদন খরচ বাড়বে। অন্যদিকে খরচের বিপরীতে পণ্যের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় বড় অংকের লোকসানের মুখে পড়তে হবে খামারিদের।
[৭] সংগঠন নেতারা জানান, দেশের মানুষের স্বার্থে শূন্য শুল্ক সুবিধায় আনা সেই সয়াবিন সিড থেকে উৎপাদিত সয়াবিন মিলই এখন ৩ থেকে ৪টি সয়াবিন তৈল উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান মুনাফার স্বার্থে রফতানি করছে। অতীতে কখনও ভারতে সয়াবিন সিড কিংবা সয়াবিন মিল রফতানি হয়নি বরং ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সয়াবিন মিল আমদানি করা হয়ে থাকে।
[৮] গত ঈদে ২৯ লাখ গবাদিপশু অবিক্রিত রয়ে গেছে জানিয়ে সংগঠন সভাপতি বলেন, খামারিদের লোকসান কমাতে আমরা ভারত থেকে হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানি বন্ধ রাখতে বলছিলাম। তবে চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে এ মাংস এখনো আসছে।
[৯] সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ সভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান, অর্থ সম্পাদক জাফর আহমেদ পাটোয়ারী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিব উল্লাহ প্রমুখ।