আশরাফুল আলম খোকন: ‘নগদ’ হচ্ছে কিছু স্বপ্নবাজ তরুণের প্রচেষ্টার ফসল। এই স্বপ্নটা মাফিয়া চক্রের মনোপলি ব্যবসার বিরুদ্ধে। মাফিয়া চক্রের স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় নগদের বিরুদ্ধে তারা আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে। দেশে-বিদেশে অনেক ভাড়াটিয়া গুজববাজ ও অপপ্রচারকারীও তারা ভাড়া করেছে। আপনাদের যদি মনে থাকে, এই মাফিয়া চক্র যখন গ্রামীণ ফোনের অংশীদারিত্বে ছিলো তখনও প্রতি মিনিটে ১০ টাকা নিতো। ফোন আসলেও তারা টাকা চার্জ করতো। এভাবেই তখন দেশের জনগণের টাকা লুটেপুটে বিদেশ পাচার করেছে। নগদ প্রতি হাজারে চার্জ করে ৯.৯৯ টাকা। মাফিয়া চক্রটি নেয় প্রায় বিশ টাকা। সেন্ড মানি, বিল পে নগদে ফ্রি কিন্তু তারা এসবেও ২০/৩০ টাকা চার্জ করে। এই যে এভাবে জনগণের পকেট কেটে নিচ্ছে এই নিয়ে গুজববাজরা কিছু বলেন না।
মাফিয়া চক্রটি জনগণের পকেট কাটা টাকা দিয়েই অপপ্রচার ও আন্দোলনকারীদের লালন পালন করে, তাদের পেটমোটা করে। তাই তাদের আওয়াজও বেশি। জনগণের পকেট কেটে নগদ দেশে-বিদেশে কোনো দালাল পালে না। এই স্বপ্নের শুরুতে এর সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িতও ছিলাম, তাই স্বপ্নটার আদ্যোপান্তও জানি। ওই মাফিয়া চক্র ডিজিটাল টাকা লেনদেন মার্কেটে অন্য কোনো কোম্পানিকেই দাঁড়াতে দেয়নি। নগদকেও বারবার ধ্বংস করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। পারবেও না। কারণ যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই নগদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মুনাফার ৫১ শতাংশের মালিকও দেশের জনগণ, সরকার তথা ডাক বিভাগ। ডাক বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম তারা মুনাফাও পেয়েছে নগদ থেকে। নগদের অপরাধ কী? সন্দেহ জনক লেনদেন হওয়ায় নগদ হাজার দশেক একাউন্টের লেনদেন স্থগিত করেছে এবং এসব লেনদেন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে দিয়েছে। এখানে নগদ কী অপরাধ করেছে?
মোবাইল মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে দেশে জঙ্গি অর্থায়ন হয়েছে, পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসের অর্থ লেনদেন হয়েছে- এসবই সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট। নগদ কর্তৃপক্ষের কাছে সন্দেহজনক হওয়ায় তারা সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এতেই ওইসব মাথা বেচা চক্রদের অপপ্রচার শুরু হয়ে গেলো। গায়ে জ্বালা ধরে গেলো। এই চক্রকে যদি জঙ্গিবাদ ও পেট্রোলবোমাবাজদের দোসর বলা হয় তাহলে কি খুব বেশি দোষের হবে। তাদের অনেকের ফেসবুক আইডিতেই তালেবানদের পক্ষে জয়গান করার পোস্ট দেখা গেছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :