আসিফ আকবর: বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে দুধে ধোয়া স্বৈরাচার এরশাদ সাহেবের গোপন সম্পর্ক ৮৬ সালের আওয়ামী ডিগবাজির চমৎকার একটা নিদর্শন ছিলো। বহুবছর আন্দোলন আর সমঝোতার ভালোবাসায় একই মার্কা নিয়ে অটো ইলেকশনে নির্বাচিত হয়েছে তারা, সরকার আর গৃহপালিত বিরোধী দল পার্লামেন্ট চালায় অবিচ্ছেদ্য অংশীদার হিসেবে। এ ধরনের রেকর্ড পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই। তাদের পেইড কিংবা প্রি-পেইড অথবা মগজধোলাই প্রাপ্ত বুদ্ধিজীবীরা ক্লিব ব্যক্তিত্বের উপাধি নিয়ে অলমোস্ট জনবিচ্ছিন্ন। যদিও বর্তমানে তারাই পোলার বাপ, তারাই মাইয়ার বাপ। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ভোটারবিহীন নির্বাচনে এখন আর বিপক্ষ প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না। ইউপি মেম্বারও নির্বাচিত হচ্ছে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায়। শপথ নিয়ে মিথ্যে বলার মতো এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি! টিভি খুললেই কমিটেড রাষ্ট্রীয় মিথ্যাচারের আসল উপাখ্যানগুলো এখন প্রায় মিথের পর্যায়ে চলে গেছে।
রাষ্ট্রের সমস্ত রাজনৈতিক বুনিয়াদ ভেঙে পরেছে। সার্কাস টাইপ ইলেকশনে কেন্দ্রে ভোটার না থাকলেও সরকার দলীয় প্রার্থী লাখ লাখ ভোট পাচ্ছে। চোখের সামনে ঘটতে থাকা এ অন্যায়গুলো নিয়ে নাগরিক সমাজে শুধু গোঙ্গানীর আওয়াজ পাওয়া যায়। লেকচারবাদী দলদাস আর দলকানা সাদাকালো পেঙ্গুইনগুলো যেকোনো মূল্যে সত্যকে ঢাকার চেষ্টায় নিজেদের আসল জাত দেখিয়ে যাচ্ছে। এদেশে ভোট দরকার নেই, মৌলিক অধিকারের দাবি ভুলে গিয়ে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী বৃহন্নলায় রুপান্তরিত হয়েছে অলরেডি। এই ভোগের আনন্দ অভিশাপ হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। শেয়ার মার্কেট থেকে এই ভ্যালী আর ওই গলি- সব টাউটদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাষ্ট্রের ভূমিকা প্রশংসনীয়। লোক দেখানো সভার পর সভা, সিদ্ধান্তের পর সিদ্ধান্তে জাতি এখন ভারবাহী গাধার দল হয়ে লাইন ধরে হাঁটছে। আওয়ামী, বিএনপি, জাপা, বাম-ডান ও পাজামা-পাঞ্জাবি সবাই ধান্দায় ব্যস্ত, আমি আম নাগরিক হিসেবে জাস্ট বকাওয়াজ করে গেলাম একটু। মানুষ দীর্ঘজীবী হওয়ার দোয়া করে সবার জন্য, আমি দোয়া করি এই জাতি দৈর্ঘজীবী হোক। বেশি কথায় দুদক আর মাদক অস্ত্র চালু হতে পারে, উপহার হিসেবে ডিজিট্টাল আইন তো আছেই। একদম বোবা থাকাও তো সম্ভব না, বিবেকের কাছে দায় থেকেই যায়! ভালোবাসা অবিরাম। ফেসবুক থেকে