খালিদ আহমেদ : [২] লন্ডনের হামস্টিড হিথ এর এই বাড়িটিতেই বসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১২ সালে তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ১০৩টি কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন।
[৩] সেই অনুবাদ টি এস ইলিয়ট-এর চেষ্টায় সুইডেনের নোবেল কমিটির কাছে পৌছায়। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পান।
[৪] বাড়িটি বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে তিনি যখন লন্ডন সফরে যান তখনই বাড়ির গায়ের নিল রঙের ফলকটি চোখে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর।
[৫] ফলকে লেখা ছিল, এই বাড়িতে বসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন। বাড়িটি রাজ্য সরকার কিনে সেখানে একটি সংগ্রহশালা করার ভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় তখনই খেলে।
[৬] বৃটেনে তদানীন্তন ভারতীয় হাইকমিশনার রঞ্জন মাথাইকে এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু, মাথাই জানান বৃটিশ সরকার বাড়িটি হেরিটেজ ঘোষণা করায় সেটি ব্যক্তি মালিকানায় কেনা সম্ভব নয়।
[৭] এরপর লাল ফিতের ফাঁসে চলে যায় পুরো ঘটনাটি। এই ৬ বছরের মধ্যে বাড়িটির হেরিটেজ ট্যাগ উঠে গিয়ে বাড়িটি যে বিক্রয়যোগ্য হয়েছে সেই খোঁজ আর ভারত সরকার রাখেনি।
[৮] ফলে হামস্টিড হিথ এর এই বাড়িটি বিক্রি হচ্ছে ২৭ লাখ পাউন্ড, ভারতীয় মুদ্রায় ২৭ কোটি ৩০ লক্ষ টাকায়।
[৯] কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমর্ষ, বহু চেষ্টা করেও এক টুকরো ইতিহাসকে রক্ষা করতে না পারায়।
আপনার মতামত লিখুন :