রাজু আহমেদ: [২] হিন্দু ধর্মাবলি ঐতিহ্যবাহী একটি তীর্থস্থান কৈবল্য ধাম, দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে আসে ভগবানের সান্নিধ্য পেতে কিন্তু বর্তমান মহারাজ কালিপদ ভট্টাচার্য বটতলায় দুর্গাপুজা হবে না বলে ঘোষণা দিলে এবছর দুর্গাপূজা হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ১৯৫২ সাল থেকে প্রায় ৬৯ বছর কৈবল্যধাম মালি পাড়ার হিন্দু ধর্মাবলিরা বংশপরম্পরায় এখানে দুর্গাপূজা করে আসছেন বলেন মালিপাড়া বাসী।
[৩] কৈবল্যধাম মালিপাড়া বটতলার দুর্গাপূজা উদযাপনের সভাপতি কাঞ্চন ভট্টাচার্য বলেন, প্রথম মহারাজ হরিপদ বন্দোপাধ্যায় থেকে ষষ্ঠ মহারাজ পর্যন্ত এই বটতলায় দুর্গাপূজা উদযাপনে কোনো বাধা আসেনি, গত বছরেও বর্তমানের মহারাজ কালিপদ ভট্টাচার্য বটতলার দুর্গাপূজা উদ্বোধন করেছেন, কিন্তু এ বছর মহারাজ কালিপদ ভট্টাচার্য্য বটতলায় দুর্গাপূজা বন্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি আরো বলেন, এখানে দুর্গাপূজা মালিপাড়ার একটি ঐতিহ্য,এখানে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন পূজা পালন করতে, সুদূর ইন্ডিয়া থেকেও আসেন ভক্তরা।
[৪] জানা যায় চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সেক্রেটারি এসেও এ সমস্যা সমাধান করতে পারেনি, দুর্গাপূজা বন্ধের বিরুদ্ধে গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ৯.৩০টায় অবস্থান অন্বেষণ পালন করেন মালি পাড়ার বাসিন্দারা,তারা বলেন মহারাজ যদি কোন শর্ত এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা বেঁধে দেয় তাও তারা মানতে রাজি কিন্তু বটতলায় দুর্গাপূজা যেন পালন করতে পারেন মালিপাড়া বাসী।
[৫] দুর্গাপূজায় সমস্যা নিয়ে গত ৩১ শে আগস্ট শ্রী শ্রী কৈবল্যধাম ট্রাস্টির সদস্য প্রকৌশলী সুদীপ বসাক গণমাধ্যমকে বলেন প্রতিবছর মন্দিরে ঘটে দুর্গাপূজা করা হয় এবার শ্রীশ্রী কৈবল্যধাম ট্রাস্টি এবং মহারাজ কালিপদ ভট্টাচার্য্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বট তলায় কোন দুর্গাপূজা হবে না, যেহেতু মন্দিরে ঘটে দূর্গা পূজা করা হয় সেহেতু বটতলায় কোন দুর্গাপূজা করা শাস্ত্রীয়ভাবে সম্মতি দেয় না তিনি আরো বলেন মন্দিরের বাহিরে কৈবল্যধামের একটি জায়গাতে মালিপাড়া বাসীদের দুর্গাপূজা করার জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছে সেখানে তারা দুর্গাপূজা করুক। কিন্তু মালিপাড়া বাসীর দাবি সেখানে ১০ থেকে ১২ পরিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের কিন্তু প্রায় ৪০ পরিবার মুসলিম সম্প্রদায়ের সেখানে দুর্গাপূজা করা হলে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অসুবিধার সৃষ্টি হবে।