হাসিব খান: [২] গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার ৪১নং ওয়ার্ডের নয়ানী পাড়ায় ফেসবুক লাইভে গিয়ে থানা পূজা উদযাপন কমিটির নেতা স্বপন চন্দ্র দাস (৪২) নামে এক ব্যক্তির আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
[৩] স্বপন চন্দ্র দাস একই এলাকার নগেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি পূবাইল বাজার কেন্দ্রীয় রাধামাধব মন্দির ও পূবাইল থানা পূজা উদযাপন কমিটির অর্থ সম্পাদক এবং আশার আলো সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
[৪] পূবাইল থানার এসআই রাসেদুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
[৫] জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ফেসবুক লাইভে গিয়ে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে স্বপন চন্দ্র দাস গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার দৃশ্য প্রচার করেন। প্রায় ৩০-৩৫ জন সরাসরি দেখেন সেই সময়কার ফেসবুক লাইভটি।
[৬] এর আগে দুপুরে স্বপন চন্দ্র দাস নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে অনেকগুলো ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘জীবনের কিছু স্মৃতিময় মুহূর্ত। হয়তো এটাই জীবনের শেষ আপলোড।
[৭] প্রায় সময় লাইভে গিয়ে নতুন নতুন বিষয় উপস্থাপন করা হাসি খুশি লোকটি কেন হঠাৎ আত্মহত্যার পথ বেছে নিল তা নিয়ে এখন এলাকায় চাপা গুঞ্জন চলছে।
[৮] ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা করার সময় পার্শ্ববর্তী এলাকার শরিফ নামে এক যুবক একই এলাকার স্বপনের ব্যবসায়িক পার্টনার আনোয়ার হোসেনের ছেলে নীরবকে ফোন দিয়ে বিষয়টি দ্রুত জানতে বলে। পরে কয়েকজন গিয়ে ডাকাডাকি করে স্বপনের দোতলায় ঘুমানো দুই ছেলেকে ডেকে উঠিয়ে তার বাবার ঘরে গিয়ে দেখে ওড়না গলায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে স্বপন। জীবিত ভেবে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
[৯] পূবাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম জানান, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ও লাইভে গিয়ে আত্মহত্যা করার বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।