খালিদ আহমেদ: [২] উদ্ভাবিত জাতটি সারা দেশে চাষাবাদের জন্য বীজবোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। জাত দুটির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
[৩] কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের গবেষক অধ্যাপক নাসরীন আক্তার আইভী ৫ বছরের অধিক সময় গবেষণা করে নতুন এ দু জাতের পেঁপে উদ্ভাবন করেছেন।
[৪] চারা লাগানোর ৬০-৭০ দিনের মধ্যে ফল আসবে। এ জাতের পেঁপেতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। উদ্ভাবিত জাতের পেঁপে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী।
[৫] উদ্ভাবক অধ্যাপক নাসরীন আক্তার আইভী বলেন, পেঁপে একটি পরপরাগায়িত ফল। পেঁপের ৩২ লিঙ্গের গাছ থাকলেও পুরুষ, স্ত্রী ও উভয় লিঙ্গের গাছই পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আমরা শুধু স্ত্রী ও উভয় লিঙ্গের পেঁপের জাত উন্নয়নে কাজ করছি। স্ত্রী ও উভয় লিঙ্গের পেঁপে গাছে ফল ধরে। উভয়লিঙ্গ গাছের ফল লম্বাটে হয়। প্রতিটি গাছে ৫০-৬০ টি ফল হয় এবং প্রতিটি পেঁপের ওজন হয় ১.৫-৩.৫ কেজি।
[৬] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, এ পেঁপে কৃষি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের দেহের পুষ্টি তথা স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। পুষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমাদের পেঁপের এ জাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।