মাছুম বিল্লাহ: [২] ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভট্ট মঙ্গলবার আসামের গুয়াহাটিতে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক হল প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা, উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনী একে অপরের সাথে সহযোগিতা ও সমন্বয় করছে।
[৩] তিনি বলেন, বাংরাদেশ ও ভারত উভয়েরই অত্যন্ত দক্ষ এবং পেশাদার সেনাবাহিনী রয়েছে এবং তারা পূর্ব অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে একে অপরকে সহযোগিতা করছে। উভয় দেশের সেনাবাহিনী সম্প্রতি যৌথ মহড়া করেছে যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করেছে।
[৪] বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ভারতের সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের আয়োজনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
[৫] অজয় ভট্ট বলেন, মোদি সরকারের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ পলিসির আওতায় উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এবং এটি একটি বিশেষ কারণ এই অঞ্চলটি উভয় দেশের জন্য উদীয়মান সূর্যের মতো।
[৬] তিনি বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশ উপমহাদেশে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, উভয় দেশই ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, ৪০৯৬.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এবং ৫৪ টি নদী দ্বারা সংযুক্ত। দুই প্রতিবেশী দেশকে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
[৭] ভারতের সেনা বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, এই সেমিনারটি দু’দেশের ভাবনা বিনিময় এবং সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার সুযোগ সৃষ্টির একটি প্ল্যাটফর্ম।
[৮] ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক যুগ্ম সচিব স্মিতা পান্ত বলেন, মহামারীর সময় যখন দুই দেশের সড়কপথে বাণিজ্য ব্যাহত হয়, সমস্যা মোকাবেলায় রেল যোগাযোগ খুলে দেয়া হয়।