লিহান লিমা: [২]মঙ্গলবার মার্কিন থিংক ট্যাংক ফ্রিডম হাউসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১তম বছরের মতো বিশ্বব্যাপীই ইন্টারনেট স্বাধীনতা হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এর অধীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তার করার অব্যাহত থাকায় ইন্টানেটের স্বাধীনতা সূচক রেকর্ড পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। গার্ডিয়ান
[৩]ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে আসে, সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৪০, অর্থাৎ বাংলাদেশে ব্যবহারকারীরা আংশিকভাবে ইন্টারনেটের স্বাধীনতা পাচ্ছেন। যা কিনা গত বছর থেকে ২ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিলো ৪৪। ২০১৮ সালে এটি ছিলো ৪৯, ২০১৭ সালে ৪৬ এবং ২০১৬ সালে ছিলো ৪৪।
[৪]দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কেবলমাত্র পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। দেশটির পয়েন্ট ২৫ অর্থাৎ সেখানে ইন্টারনেট স্বাধীনতা ‘মুক্ত নয়’। ভারতের পয়েন্ট ৫১ এবং শ্রীলংকার ৪৯। প্রতিবেদনে অংশ নেয়া দেশগুলোর মধ্যে সূচকে সবচেয়ে বড় অবনতি হয়েছে মিয়ানমারের। ইন্টারনেট র্যাঙ্কিংয়ে টানা সপ্তমবারের মতো সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে চীন। টানা তৃতীয়বারের মতো ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আইসল্যান্ড।
[৫]প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের প্রথম ৯ মাসে ডিএসএ এর অধীনে বাংলাদেশে ৮০০টির ও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সরকারের সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নথি থেকে জানা যায় ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে এই আইন কার্যকর হওয়ার পর এর অধীনে প্রায় ২ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাছাড়া ২০১৩ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচকে ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ ছিলো বাংলাদেশ।
[৬]এই প্রতিবেদনকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ‘আমি মনে করি এই ধরণের বেসরকারী সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোনো ভিত্তি নেই। এসব সংস্থা নিজের ইচ্ছামতো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বাংলাদেশে কোথায় ইন্টারনেটের স্বাধীনতা হ্রাস পাচ্ছে তা আমার চোখে পড়ছে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, এইটি মানুষকে রক্ষা করা ছাড়া কোনো ক্ষতি করছে না। ১৭ কোটি মানুষেল দেশে ৮’টি মামলা দায়ের করা উল্লেখযোগ্য কিছু না। তিনি আরো বলেন, ইভ্যালি যে অপরাধ করেছে এবং ডিজিটাল অপরাধের মাত্রা যেভাবে বাড়ছে তা কিভাবে ঘটছে?’। টিবিএস
আপনার মতামত লিখুন :