শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়ার জানাজা: বুধবার সকাল ৭টা থেকে বন্ধ থাকবে যেসব সড়ক ◈ এবার ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ৪ নেতা ◈ জ্বালাময়ী যে বক্তব্যের পর বেগম খালেদা জিয়াকে আর জনসমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি (ভিডিও) ◈ এবার কারাগার থেকে প্রার্থী হলেন সাবেক যুবলীগ নেতা ◈ রাজপথের সংগ্রাম থেকে ঘরোয়া স্নেহ—ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধাদের স্মৃতিতে খালেদা জিয়া যেমন ছিলেন ◈ খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্বের তিন মেয়াদে আলোচিত ১০টি ঘটনা ◈ খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ◈ গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অনন্য অনুপ্রেরণা ছিলেন খালেদা জিয়া—ড. কামাল ◈ খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের স্পিকার ◈ ছাত্রদলকর্মীকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৪১ রাত
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বীথি সপ্তর্ষি: ৩০ বছর বয়সের মতো এমন বালাই আর নাই, বয়সের ৩০ দ্রুত কেটে যাক

বীথি সপ্তর্ষি: ৩০ বছর বয়সের মতো এমন বালাই আর নাই। এই বয়সে এসে বন্ধু-বান্ধবের বিয়ে হয়ে যায়। আরেকটু এডভান্সদের ২/১টা বাচ্চাও থাকে। এই বয়সে আসলে বাপ-মায়ের নিজের বাচ্চার বাচ্চা দেখতে মন চায়। ফলে শুধু বিয়েই নয়, মাথায় বাচ্চার চিন্তা নিয়েও ঘুরতে হয়। এই বয়সে এসে বাপ-মায়ের কাছে আর পকেটমানি চাওয়া যায় না। আবার চাকরির বাজার খারাপ হওয়ায় চাকরিও পাওয়া যায় না। বেশি কপাল খারাপ হলে থাকা চাকরিও চলে যায়। তার চেয়েও বেশি খারাপ কপাল হলে, এই চাকরি চলে যাওয়ার খবর কাউকে জানানো যায় না, চাকরি চাওয়া তো দূরের কথা! ৩০ বছর বয়সের মতো এমন বালাই আর নাই। না কাটানো যায় ব্যাচেলর লাইফ, না কাটানো যায় কম্বাইন্ড লাইফ। তার ওপর মেজাজ খিটমিটে হওয়ার বয়সও এটা। অনেক সুন্দর সুন্দর, ভালো, কাছাকাছি থাকা, বোঝাপড়া থাকা সম্পর্ক এই বয়সে এসে ঝুরঝুর করে ভেঙ্গে পড়ে। এই ভেঙে পড়া প্রথম প্রেমের মতো নয় যে বিড়ি-সিগারেট খেয়ে সামলে ওঠা যায়। বড় হয়ে যাওয়ার পর হাসাহাসি করা যায়। বরং এই বয়সের ভেঙে যাওয়া একটা সম্পর্ক সারাজীবনের ক্ষত, সারা জীবনের ট্রমা হয়ে থেকে যায়। ৩০ বছর বয়সের মতো এমন বালাই আর নাই। সবচেয়ে বড় সমস্যা, বয়সটা মানুষকে একা করে দেয়।

বাপ-মা অসুস্থ হয়, রিটায়ার করে। কারো বাপ-মা মরে যায়, কারো বা ক্যান্সারে ভোগে। কারো বাপ-মা সন্তানের মধ্যে বৈষম্য করায় সন্তান এই বয়সে এসে অভিমানে দূরে সরে যায়। এই বয়সে প্রেমিকের বিয়ে হয়ে যায়, প্রেমিকার বাচ্চা হয়ে যায়, বন্ধুরা চাকরি নিয়ে-সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আত্মীয়-স্বজনরা সফলতার কম্পিটিশনে কার নাম আগে রাখবে ঠিক করে নেয়। ঢাকায় থাকা মানুষদের উন্নয়নের অত্যাচারে আড্ডার জায়গা সব ভেঙ্গে যেতে থাকে। এই বয়সে মানুষ ঘুমানোর সময় সারাজীবন কতো লসে কেটে গেলো ভেবে ডিপ্রেশনে তলিয়ে যেতে থাকে। জ্যামে বসে সারাজীবন নষ্ট হয়ে গেলো ভেবে রাগ হতে থাকে। স্ট্রেসের ঠেলায় ব্যাক-পেইন, মাসল পেইন বেড়ে যেতে থাকে। বাস নাকি রিকশা নাকি সিএনজি করে বাসায় ফিরবো টেনশনে মাথার চুল পড়ে যেতে থাকে।

ডিপ্রেশনটা আসলেই হচ্ছে নাকি মনের বানানো ভেবে ভেবে ইনসমনিয়াক হয়ে যেতে থাকে। মোদ্দা কথা, ৩০ বছর বয়স একটা কনফিউশন, ডিপ্রেশন আর লোনলিনেস থৈ থৈ বেঁচে থাকা জীবনের বয়স। ২/৪ বছরের মধ্যে কিছু একটা হয়ে যাবে, ভেসে উঠবো কিংবা তলিয়ে যাব জেনেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় বেঁচে থাকার নাম ৩০। এই তিরিশের উদ্বিগ্ন কমরেডদের পথে ঘাটে দেখলেও আপন আপন লাগে। মনে হয়, নিজের পাশ কাটিয়ে নিজেই হেঁটে চলে যাচ্ছি। বয়সের ৩০ দ্রুত কেটে যাক, করোনার দিন শেষ হোক। উন্নয়নের ধুলো-বালি ম্লান হোক, পথের ধারে অপাত্রেই ফুটুক কৃষ্ণচূড়া। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়