আনিস আলমগীর : একবার আমি একটি খতরনাক মামলায় পড়লাম। আইসিটি মামলা। যা নই, যা বুঝাইনি সেটা বুঝে দুষ্টু লোকেরা আমার সঙ্গে দুষ্টামি করছিলো। মামলার ওই পর্যায়ে আইনজীবীদের করার কিছু ছিলো না। আমি পরিচিত এক জ্যোতিষীকে ফোন করলাম, যাকে একবার আমি একটি টিভিতে প্রতিদিন সকালে রাশিফল পড়ার কাজ দিয়েছিলাম। বললাম, দাদা দেখা করতে চাই। আমার হাত দেখে বলবেন সহসা আমার জেল হবে নাকি ফাাঁসি হবে? তিনি বলেন, হাতে কিছু লেখা থাকে না, এসব ভুয়া। আপনি জন্ম তারিখ আর জন্মের সময়টা আমাকে একটু লিখে পাঠিয়ে দিন। আমি রাতে দেখবো আর কাল সন্ধ্যায় দেখা করেন। আমি দেখা করলাম।
তিনি গ্রহ-নক্ষত্র কী সব দেখে আঁকাআকি করা কাগজ ধরিয়ে হেসে বললেন, আপনারতো জেল-ফাঁসি কিছু হবে না, নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। কথায় কথায় তিনি জানালেন, আলোচিত এক গায়িকার সঙ্গে তার বুড়া স্বামীর গণ্ডগোল চলছে। গায়িকা সংসার টিকিয়ে রাখতে চান, স্বামীকে বশে রাখতে চান। পারছেন না। স্বামীর আছে সন্দেহ বাতিক। জ্যোতিষী দাদার সঙ্গে প্রায় সিটিং দিচ্ছেন। সে সন্ধ্যায়ও দেখা করবেন। জ্যোতিষীর ক্লায়েন্টে ঘর ভর্তি। এমনিতে তিনি আমাকে সিরিয়াল ছাড়া, ডেকে নিয়েছেন। ফিস তো কোনোভাবেই নেবেন না। আমি বেশি দেরি করলাম না। নাকে খাঁটি সরিষার তেল দেওয়ার জন্য তার চেম্বারের কয়েক কদম দূরে এলিফ্যান্ট রোডের ভোজ্য তেলের দোকানে ছুটলাম। জনলাম সে গায়িকা দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সংসার কি জ্যোতিষী জোড়া রাখতে পারে। এই আশায় কেউ জ্যোতিষীর কাছে যাইয়েন না। ফেসবুক থেকে