শরীফা খাতুন : [২] খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ২নং বারাকপুর ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় শর্টগানের গুলিতে ৫ জন আহত হয়েছেন।
[৩] আহতরা হলেন, স্থানীয় খলিল শেখের ছেলে মোঃ ইমরান শেখ (২৫), শহিদ শেখের ছেলে আহাদ শেখ (২৬), মহাজেন মল্লিকের ছেলে কামাল মল্লিক (৩৫), সালাম শেখের ছেলে সাগর (২২) ও ওলি মোল্লার ছেলে আলমগীর (৩০)। এরা সকলেই দিঘলিয়ার উপজেলার লাখোহাটি গ্রামের বাসিন্দা।
[৪] সোমবার বেলা ১১টার দিকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ২নং বারাকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে উত্তর বারাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী জাকির হোসেন ও আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ আনসারউদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় কর্তব্যরত আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় উভয় গ্রুপ ছত্রভংগ হয়ে যায়।
[৫] এ সংর্ঘষের রেশ ধরে দুপুর ১২টার দিকে বারাকপুর ৫নং ওয়ার্ডের মিনা পাড়া নামক এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ আনসার উদ্দীনের বাড়ির সামনে দুই পক্ষের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণে ৫ জন আহত হলে তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা সকলেই বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ আনসারউদ্দিনের সমর্থক বলে জানা যায়।
[৬] স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আনছার আলীর অভিযোগ করে বলেন, বেলা আনুমানিক ১২টার সময় আমি ২ টি প্রাইভেট গাড়ীতে করে আমার ৬ জন কর্মী নিয়ে বারাকপুর ৫ নং ওয়ার্ডের বারাকপুর উঃ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে যায়। এ সম আঃলীগের প্রার্থী জাকির গাজীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়িতে লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আমি ঐ এলাকা থেকে চলে যাওয়া পর প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা আমার কর্মী সমর্থকদের উপর বোমা হামলা করেছে। এলোপাথাড়ি গুলি করেছে।
[৭] আ’লীগের প্রার্থী গাজী জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ৫ ওয়ার্ডের বাইরের বহিরাগতদের নিয়ে আনছার শেখের সন্ত্রাসীরা আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা এবং বাড়ি ভাংচুর করেছে। আমি শান্তিপূর্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে।
[৮] এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
[৯] দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময় ২নং বারাকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :