আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ৮৪ বছরে যা আয় হয়নি, হয়েছে ৪ বছরেই। চলতি অর্থবছরের ৭ মাসেই মদ বিক্রি হয়েছে ১৯৫ কোটি টাকার
[৪] কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি ইউনিট সবসময়েই লাভদায়ী ছিলো। কিন্তু অন্য ইউনিটগুলোর ব্যর্থতায় বছরের পর বছর লোকসান গুনতে হয়েছে চুয়াডাঙায় অবস্থিত চিনিকলটিকে। পুরো জীবনকালে প্রথমবার লাভের মুখ দেখতে কোম্পানিটিকে ৮০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০১৭-১৯ অর্থবছর থেকে কেরুর ডিস্টিলারি ইউনিটের মুনাফা অন্য ইউনিটগুলোর লোকসানকে ছাপিয়ে যেতে থাকে।
[৫] ২০২১ অর্থবছরে শুধু মদ থেকেই কেরু অ্যান্ড কোম্পানি আয় করেছে ১৯৫ কোটি টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ৩৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। এছাড়াও বিক্রি বেড়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর ভিনেগারের। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি ২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা আয় করেছে। যা তার আগের বছরের চেয়ে ২০ কোটি টাকা বেশি।
[৬] অথচ শেষ অর্থবছরেই কোম্পানিটির চিনি ইউনিট ৭০ কোটি টাকা লোকসান দেয়। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন মোট ১৬ টি কোম্পানি পরিচালনা করে। এর মধ্যে কেরু ছাড়া সবগুলোই লোকসানি। গত বছর সরকার ৬টি চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
[৭] কেরু নিজ উৎপাদিত মদ দেশেই বিক্রি করে, রপ্তানি করা হয় না। ভোক্তারা বলছেন দেশি এই মদের গুণগতমান ক্ষেত্রবিশেষে কিছু বিদেশি ব্র্যান্ডের চেয়েও ভালো। ফলে ক্রমাগত এই কোম্পানির বিক্রি বাড়ছেই।