শোয়েব সর্বনাম: অমিতাভ রেজাকে অকারণে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি সিনেমা বানাইতে আসছেন, দুর্নীতি বা চুরি ডাকাতি করতে আসেননি। হুমায়ূন আহমেদের কাছ থেকে তিনি সিনেমা বানানোর মৌখিক অনুমতি নিয়েছেন। অনুদানে জমা দেওয়ার জন্য হুমায়ূনের পরিবার থেকে তিনি লিখিত অনুমতি সংগ্রহ করছেন। সরকারি অনুদান পাওয়ার পর আর্থিক ভাগ বাটোয়ারায় এই দুই পক্ষ একমত হইতে পারেননি, ফলে অমিতাভ সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন। এই আর্থিক ভাগ বাটোয়ারা অনুদানের আগেই করাটা একটু ডিফিকাল্ট ছিলো, যেহেতু অনুদানের নিশ্চয়তা আগে থেকেই থাকে না। অনুদান তিনি নাও পাইতে পারতেন। এতে অমিতাভ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সন্দেহ নেই। নিয়ম অনুযায়ী তিনি পরবর্তী দুই বছর অনুদানের অ্যাপ্লাই করতে পারবেন না।
কোন চলচ্চিত্রকার দুইবারের বেশি অনুদান নিতে পারেন না, অমিতাভও একবারের সুযোগ হারাইলেন।
ছবিটার জন্য তিনি দীর্ঘদিন কাজ করছেন, মেধা শ্রম ও অর্থ ব্যয় করছেন। সেগুলোও ক্ষতি। সুদসহ টাকা ফেরত দিতে হবে, এইটাও আর্থিক ক্ষতি। অন্যদিকে, হুমায়ূন আহমেদের পরিবারও যথাযথ আর্থিক মূল্যয়ন না পাওয়ায় অনুমতি দিতে পারতেছে না। এখানে দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত। তার চেয়েও বড় ক্ষতিগ্রস্ত হইলো চলচ্চিত্রের দর্শকেরা। অমিতাভ রেজার প্রথম চলচ্চিত্র আয়নাবাজি দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করে। এই ছবিটাও ভালো হওয়ার কথা। তা আর হইলো না। আমরা একটা ভালো ছবি দেখার সুযোগ হারাইলাম। এইখানে সমস্যাটা আসলে বাজারের। এই দেশে একটা সিনেমার পেছনে বিনিয়োগ করে খুব বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব না। ইন্ডিয়াতে একশ কোটি টাকা বাজেটে প্রতি সপ্তাহে সিনেমা বানানো হচ্ছে, আর বাংলাদেশ সরকার অনুদান দিবে ৬৫ লাখ, পরে আরও কিছু প্রোডিউসার মিলে টেনে-টুনে দেড় কোটি। এই টাকায় সিনেমা হয়। ফেসবুক থেকে