সুজন কৈরী : [২] আটক ব্যক্তির নাম- আব্দুল মোতালেব। বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
[৩] আব্দুল মোতালেবের কাছ থেকে ১৫০টি বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় বই, পাঁচটি ফাইল, ১২টি অফিস রেজিস্ট্রার, ১০০পাতা বিশেষ বিজ্ঞপ্তি, তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ এক হাজার ২৩৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
[৪] বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১০ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক ব্যক্তি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা সঞ্চয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ‘শাহজাহানপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নাম প্রতিষ্ঠান খুলে টাকা আত্মসাৎ করেন। আব্দুল মোতালেব প্রতিষ্ঠানের মালিক ও পরিচালক।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আব্দুল মোতালেব উত্তর শাহজাহানপুর এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। আব্দুল মোতালেব ২০০৭ সালে ‘শাহজাহানপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
[৬] দৈনিক ও মাসিক কিস্তি এবং এফডিআরের মাধ্যমে টাকা জমা করার বিনিময়ে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে তার প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখতে উৎসাহিত করেন।
[৭] ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, শুরুর পর কয়েক বছর গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেন স্বাভাবিক রাখে আব্দুল মোতালেবের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু গত দুই বছর ধরে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধে তালবাহনা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর তাদের অফিসের কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি আত্মগোপনে চলে যান সহযোগীসহ আব্দুল মোতালেব।
[৮] গ্রাহকরা ঘুরতে থাকেন তাদের দ্বারে দ্বারে। ভুক্তভোগী নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সর্বস্ব হারিয়ে তাদের জীবন এখন হুমকির মুখে। আর এ ধরনের বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেখিয়ে ভুক্তভোগী রিকশাওয়ালা, ভ্যান চালক, চা দোকানদার, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা এমন কি ভিখারির কাছ থেকেও টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন। বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে ফ্লাট ও বাড়ির মালিক তিনি। তার বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।