সুজিৎ নন্দী: [২] পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বরাদ্দের প্রায় ২৫ হাজার আবাসিক প্লটের ৯৫ ভাগ প্লটই হস্তান্তর শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই হাজারের ও বেশি নকশা অনুমোদনের অপেক্ষায় বাছাই কমিটিতে জমা আছে। এরই মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক নকশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে কিছুটা ঝিমিয়ে পরে। আগামী মাস থেকে অনুমোদন শুরু হবে।
[৩] রাজউকের চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, একদিকে উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ দিকে। একাধিক বাড়ি তৈরির কাজও চলছে। কয়েকটি ব্রিজ এবং রাস্তা এ বছর ডিসেম্বরে শেষ হবে। আগামী বছরের মধ্যে সকল লেক ও ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হবে।
[৪] রাজউক সূত্র জানায়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় দৈনিক ৩৪০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহের জন্য এ প্রকল্পের আওতায় ৩২০ কিলোমিটার পাইপলাইন নেটওয়ার্ক স্থাপন, ১৫ টি গভীর নলকূপ স্থাপন, একটি প্রশাসনিক ভবন ও একটি ওয়ার্কশপ নির্মাণ করা হবে।
[৫] এ প্রকল্পের মাধ্যমে জুন ২০২২ এর মধ্যে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার ১ থেকে ৫ নম্বর সেক্টরে এবং জুন ২০২৫ এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে সকল সেক্টরে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
[৬] রাজউকের পরিকল্পনা বিভাগ জানায়, ১৯ নম্বর সেক্টরটি সিবিডি (ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক অঞ্চল) এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই এলাকার প্রায় ১০০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে ‘কনসোর্টিয়াম অব পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস লিমিটেড অ্যান্ড কাজিমা করপোরেশন’। এ প্রতিষ্ঠান তিনটি আইকনিক টাওয়ার নির্মাাণ করবে।
[৭] রাজউক সূত্র জানায়, সংশোধনীর শেষ পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩টি থেকে আরো বেশি বাড়ানো হয়েছে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ২৭টি থেকে ৪৪টি, গবেষণা ও শিক্ষাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউটের সংখ্যা ৫টি থেকে ২১টি, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের সংখ্যা ৬টি থেকে ২৮টি করা হয়েছে। তবে নার্সারি ও প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা কমেছে।
[৮] সূত্র জানায়, প্রকল্পটি পাসের পর রাজউক ২০০৪, ২০০৫, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে এর নকশা সংশোধন করে। এর পর নকশায় আর কোনো পরিবর্তন আনতে গেলে আদালতের পূর্বানুমতির নির্দেশনা ছিল। পরবর্তিতে ২০১৭ সালে নকশা সংশোধনের উদ্যোগ নেয় রাজউক।