শিরোনাম
◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৪৪ রাত
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাজেট ঘাটতি চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

সোহেল রহমান: [২] করোনাজনিত কারণে সংশোধিত বাজেটও পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায় সমাপ্ত অর্থবছরে সার্বিক বাজেট ঘাটতি প্রাক্কলিত হিসাবের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সার্বিক বাজেট ঘাটতি দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭৯ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এটি গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রকৃত সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার মোট ঋণ নিয়েছে ৮০ হাজার ৫২১ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

[৩] প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এটি কমিয়ে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়। অর্থ বিভাগের প্রাথমিক হিসাবে, প্রকৃত ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে সংশোধিত ঘাটতির ৪২ দশমিক ৫২ শতাংশ মাত্র। সে হিসাবে বাজেট ঘাটতি কমেছে প্রায় সাড়ে ৫৭ শতাংশ।

[৪] বাজেট উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, এর আগে প্রতিবছরই বাজেট ঘাটতি টাকার অঙ্কে পর্যায়ক্রমে বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রকৃত বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে টাকার অঙ্কে বাজেট ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৫১ কোটি টাকা।

[৫] তথ্যমতে, সমাপ্ত অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের প্রায় ২৬ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়নি বা ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। বাজেট ঘাটতি কমে যাওয়ার এটি একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০২০-২১ অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এর আকার ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছিল। এর বিপরীতে অর্থবছর শেষে প্রকৃত ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয় হয়নি।

[৬] এদিকে অর্থ বিভাগের প্রাথমিক হিসাব মতে, বাজেট ঘাটতি পূরণে ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৮০ হাজার ৫২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার ২৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং অবশিষ্ট ৬৫ হাজার ২৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে।

[৭] অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৩২ হাজার ৬৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র খাত থেকে প্রায় ৪৩ হাজার ৩১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে। সংশোধিত বাজেটে এ দুই খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৭৯ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ৩০ হাজার ৩০২ কোটি টাকা।

[৮] দেখা যাচ্ছে যে, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম ঋণ নিলেও সঞ্চয়পত্র খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১২ হাজার ৭২৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বেশি ঋণ নেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়