মো. আল-আমিন: [২] দীর্ঘ ১৮ মাস পরে শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলায় সরকারী ও বেসরকারী ৮৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে পাঠদান শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ১৪টি কলেজ ১২৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
[৩] রোববার ১২ সেপ্টম্বর সকাল ১০ টায় সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বরন করে নেন । এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজে এর অধ্যক্ষ ফরিদ আল হুসাইনসহ শিক্ষক মন্ডলী। তারা শিক্ষার্থীদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হ্যান্ডসেনিটাইজার ও মাক্স বিতরন করেন।
[৪] এ প্রতিষ্ঠানটি জেলার সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইতিমধ্যে স্থান করে নিয়েছে তাদের মেধা মননশীলতা ,দক্ষতা ও পরিবেশেগত দিক দিয়ে। পরীক্ষার ফলাফলের দিক দিয়ে শতভাগ পাশ করে এ প্রতিষ্ঠানে। করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে ক্লাস চালু রেখে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া চর্চা রেখেছে এ প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষ। দিন দিন এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করার পরিকল্পনা ও রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা।
[৫] এদিকে জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বরন করে নেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এমারত হোসেন।
[৬] জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১৮ দঃ মহিষার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বরন করে নেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. শামীম হোসেন। এরই সাথে একযোগে পুরো জেলায় দীর্ঘ ১৮ মাস পরে মুক্ত বাতাসে এসে ছাত্রছাত্রীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানে যোগ দিয়েছে। পুরো জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা আবারে ফিরে এসছে তাদের প্রাণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
[৭] মজিদ জরিনা স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক বলেন, দীর্ঘ আঠারো মাস পরে ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে লেখা পড়ায় যোগ দিয়েছে। এ কারনে তাদেরকে উৎসাহ ও আনন্দ দিতে আমরা ফুল দিয়ে তাদেরকে বরন করে নিয়েছি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী পাঠদান করবো।সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস