সাগর আকন: [২] সাবেক ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শফিকুল ইসলাম পনুকে কুপিয়ে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় একই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মোতাহার মৃধাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
[৩] রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো, মাহবুব আলম এ আদেশ দেন।
[৪] জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার ৫ নম্বর আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ছিল শফিকুল ইসলাম পনু। একই ওয়ার্ডে মেম্বর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পাকুরগাছিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মৃধার ছেলে মোতাহার মৃধা।
[৫] এ বছর ১ এপ্রিল বিকাল অনুমান ৬ টার সময় পাকুরগাছিয়া গ্রামে নির্বাচনী প্রচারের সময় মোতাহার মৃধাসহ ২৯ জন একত্রিত হয়ে শফিকুল ইসলাম পনুকে কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। দুটি পা পিটিয়ে ভেঙে দেয়। একাধিক কুপিয়ে পনুর শরীর ক্ষত বিক্ষত করে। বরগুনা থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে পনুকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। পনু বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১০ এপ্রিল মোতাহার মৃধাসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
[৬] দুপুরে বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সেচ্ছায় হাজির হলে শুনানী শেষে জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
[৭] শফিকুল ইসলাম পনু বলেন, ইউনিয়নের নির্বাচনের আগে মোতাহার মৃধা ও আকাইদ হোসেন ঠান্ডাসহ ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী আমাকে কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমার দুটি পা পিটিয়ে ভেঙে দেয়। কুপিয়ে সমস্ত শরীর রক্তাক্ত করে। আমি এখনও হাটতে পারি না। ক্রাশে ভর দিয়ে চলতে হচ্ছে। আমাকে মারধর করে নির্বাচনে পরাজিত করে মোতাহার মৃধা ও তার দলবল।
[৮] হাজতী আসামী মোতাহার মৃধা কোর্ট বারান্দায় বসে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসাঁনো হয়েছে। এ ঘটনায় আমি জড়িত ছিলাম না। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস
আপনার মতামত লিখুন :