রাকিবুল আবির: [২] বিশ্বে যতোদিন রাজতন্ত্র ছিলো, ততোদিনই রাজতন্ত্রের ওপর প্রভাব ছিলো রাজার রাজকীয় জীবন সঙ্গীদের। তেমনি বিশ্বের সেরা ১০ রাজকীয় জীবন সঙ্গীদের নিয়ে আজকের আলোচনা।
১. নেফারতিতি (খৃষ্টপূর্ব ১৩৭০-১৩৩০): প্রাচীন মিশরের অন্যতম প্রভাবশালী রাণী হিসেবে পরিচিত ছিলেন ফারাও রাজা আখেনাতেনের সহধর্মী নেফানতিতি। ফারাও রাজা তুতেনখামেনের সৎ মা ছিলেন তিনি।
২. সম্রাজ্ঞী থিওডোরা (৫০০-৫৪৮ খৃষ্টাব্দ): ২১ বছর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যকে শাসন করা সম্রাট জাস্টিনিয়ানের স্ত্রী ছিলেন সম্রাজ্ঞী থিওডোরা। যদিও তিনি শাসক ছিলেন না, তবে অনেকেরই বিশ্বাস, তিনিই ছিলেন বাইজেন্টাইনের প্রকৃত শাসক।
৩. উ জেটিয়ান (৬২৪-৭০৫ খৃষ্টাব্দ): সম্রাট তাইজংয়ের কনকুবাইনের দায়িত্বে থাকার পর সম্রাজ্ঞী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নির্দয় এবং উজ্জ্বল সুন্দরী।
৪. কিয়েভের ওলগা (৮৯০-৯২৫ খৃষ্টাব্দ): রাজা কিয়েভের ইয়েগের সহধর্মী ছেলেন কিয়েভের ওলগা। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনিই রাজত্ব করেছেন কিয়েভান রাস।
৫. অ্যাকুইটেনের এলিনর (১১২২-১২০৪ খৃষ্টাব্দ): এলিনরের প্রথম স্বামী ছিলেন ফ্রান্সের রাজা সপ্তম লুইস। এর ২ মাস পরেই তিনি কাউন্ট অফ আনজো এবং ডিউক অফ নরম্যান্ডি রাজা হেনরিকে বিয়ে করেন। এরপরই শুরু হয় তার প্রভাব বিস্তার।
৬. এনি বোলেইন (১৫০১-১৫৩৬): অষ্টম হেনরির সহধর্মী ছিলেন তিনি। তবে প্রতারক হিসেবেই বেশ খ্যাতি রয়েছে এনি বোলেইনের।
৭. ম্যারি অ্যান্তোনেট (১৭৫৫-১৭৯৩): ফ্রান্সের রাজা ষোলতম লুইসের সহধর্মী ছিলেন তিনি। ফ্রান্সের রাণী হিসেবে তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
৮. প্রিন্স অ্যালবার্ট (১৮১৯-১৮৬১): ১৮৪০ সালে তিনি রানী ভিক্টোরিয়াকে বিয়ে করেছিলেন।
৯. গায়েত্রী দেবী (১৯১৯-২০০৯): মহারাজা সাওয়াই মান সিংহকে বিয়ে করেছিলেন গায়েত্রী দেবী। পরবর্তিতে তিনি জয়পুরের মহারানীর দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
১০. প্রিন্স ফিলিপ (১৯২১-২০২১): দ্বিতীয় রানী এলিজাবেথের স্বামী হিসেবে পরিচিত প্রিন্স ফিলিপ। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য হিসেবে রাজ্য পরিচালনায় কর্মরত ছিলেন তিনি। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।