শাহীন খন্দকার: [২] শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ থেকে ৪০ টাকা, করোল্লা ৩০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিপিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিড়চিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, লতি ৫০ থেকে ৬০টাকা ও কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
[৩] আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
[৪] এদিকে ভারতীয় ডালের দাম ৫ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় আর দেশী ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। বাজারে গতসপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে আটা। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়।
[৫] বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। এছাড়া সোনালি (কক) মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। খুচরাঁ ব্যবসায়ী খবির মিঞা বলেন, খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে মুরগির দাম কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ।
[৬] সব ধরনের মাছের দাম কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। ইলিশের মৌসুমেও নানা অজুুহাতে ব্যবসায়ীরা চড়া দামে ইলিশ বিক্রি করছেন। আকার ভেদে রুই কেজিপ্রতি ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বড় আকারের প্রতি কেজি চিংড়ি এক হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিপ্রতি মাঝারি আকারের চিংড়ি ৭৫০-৭৬০ টাকা, ছোট আকারের চিংড়ি ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-২০০ টাকা, কই ১৫০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০-১৮০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৩০-১৭০ টাকা, নওলা ১৩০-১৫০ টাকা, সরপুঁটি ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
[৭] এক কেজি ওজনের প্রতি পিস ইলিশ ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কৃষিবাজার মাছ বিক্রেতা সোবেদ আলী বলেন, হাওর অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেশি মাছ কম ধরা পড়ছে পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও মাছের বাজার অস্থির।সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :