লিহান লিমা: [২] নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্দা আর্ডেন বলেছেন, গত শুক্রবার অকল্যান্ডের সুপারমার্কেটে অতর্কিত ছুরি হামলা চালানো সন্ত্রাসীর ওপর নির্বাসনের নোটিশ ছিলো। ৩২ বছর বয়সী শ্রীলংকান আথিল মোহাম্মদ শামসুদ্দীন নিউজিল্যান্ডে শরণার্থী মর্যাদায় থাকতে বছরের পর বছর চেষ্টা করছিলেন। গার্ডিয়ান
[৩]২০১১ সালের ২১ অক্টেবর নিউজিল্যান্ডে শিক্ষার্থী ভিসায় আসেন শামসুদ্দীন। আসার কিছুদিন পরই তিনি শরণার্থী মর্যাদার দাবী করেন। ২০১২ সালে এই আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তাকে শরণার্থীর মর্যাদা দেয়া হয়। ২০১৬ সালে সামাজিক মাধ্যমে সহিংস হামলা, যুদ্ধ-সংঘাত সম্পর্কিত প্রচারণা করায় তার ওপর গোয়েন্দা সংস্থার নজর পড়ে। ২০১৭ সালে অকল্যান্ড বিমানবন্দর থেকে সিরিয়া যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৮ সালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আবারো একটি ছুরি কেনায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ও তার বাসায় আইএসএর প্রচারপত্র পাওয়া যায়। ২০২১ সালের জুলাইতে আইএস এর প্রপাগাণ্ডা প্রচারের অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছরের নজরদারীতে আনা হয়, তার ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত করা হয়েছিলো।
[৪]আর্ডেন জানান, শামসুদ্দীনের শরণার্থী মর্যাদা বাতিল করে তাকে নির্বাসনের নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার বিচার চলমান থাকায় তাকে ফেরত পাঠানো যাচ্ছিলো না।
[৪]নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ তার অভিবাসনের মামলার বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখতে চাইছিলেন কিন্তু তার কোনো আইনী ভিত্তি ছিলো না। ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ৩০ জন পুলিশ অফিসার তার ওপর নজরদারী চালাচ্ছিলেন। পুলিশের নজরদারী থেকে কয়েক মিটার দূরে যেতেই সুপারমার্কেটের তাক থেকে ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালান তিনি। এই হামলায় ৭ জন আহত হয়েছেন।
[৫]কর্তৃপক্ষ জানতো যে শামসুদ্দীন সন্ত্রাসী হামলা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে এর পরিকল্পনা করা অপরাধ নয়। শুক্রবার হামলার পর নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্ট সন্ত্রাসী হামরার পরিকল্পনাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে আইন প্রস্তাব করে। আর্ডেন শীঘ্রই এই প্রস্তাবকে আইনে রুপ দেয়ার কথা বলেছেন।