শিমুল মাহমুদ: [২] করোনা মহামারির এই সময়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তি উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান 'ক্রাক্সক্স' (ঈজটঢ) এর গবেষকরা দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি করেছেন একটি উন্নত প্রযুক্তির মেডিকেল ভেন্টিলেটর। যা স্বল্প খরচে সহজেই তৈরি করা যায় একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং সহজে বহনযোগ্য। দ্য ডেইলি স্টার
[৩] গত বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাস মহামারি আঘাত হানার প্রায় মাস খানেক পরে ক্রাক্সয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ রাজওয়ানুল হক নাবিল তার দলের সদস্য একেএম মারুফ হোসেন রাহাতকে সঙ্গে নিয়ে একটি ভেন্টিলেটর প্রকল্প শুরু করেছিলেন।
[৪] ভেন্টিলেটর নির্মাণের দলে পরে যুক্ত হয়েছেন শোভন সুদান সাহা, মো. হাসানুর রহমান সোহাগ, ফজলে রাব্বি শাফি এবং সত্য রঞ্জন সরকার। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে গত বছরের জুলাইয়ে ভেন্টিলেটরের প্রথম প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়।
[৫] রাজওয়ানুল হক নাবিল বলেন, দ্রুত উৎপাদনযোগ্য, স্বল্প খরচ এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পোর্টেবল টারবাইনভিত্তিক ভেন্টিলেটরটি অন্য যেকোনো বাণিজ্যিক ভেন্টিলেটরের মতোই দক্ষতার সঙ্গে কার্যকর। শব্দের মাত্রা অন্য ভেন্টিলেটরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক এবং এটি পিআরভিসি, পিসিবি, এসআইএমভি এবং বাইপেপ মোডে কার্যকরী।
[৬] সোলেনয়েড এবং পিপ ভালবের পরিবর্তে একটি প্রেশার রিলিজ মেকানিজম তৈরি করেছি, যা ৩৫ শতাংশ কম শক্তি খরচ করে এবং অত্যন্ত সাশ্রয়ী। এটি যে কোনো ধরনের পেশেন্ট সার্কিটের সঙ্গে কার্যকরী। ভেন্টিলেটরে রিয়েলটাইম ডেটা প্রদর্শনের জন্য একটি বড় স্ক্রিনও সংযুক্ত করা হয়েছে।
[৭] নাবিল আরও বলেন, একটি বাণিজ্যিকভাবে নির্মিত ভেন্টিলেটরের বর্তমান বাজার দর প্রায় ১০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে। কিন্তু এই ওপেন সোর্স ভেন্টিলেটরটি উৎপাদনে সকল আনুষঙ্গিক খরচসহ মাত্র ১ থেকে ২ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এই ভেন্টিলেটরটি একটি মডুলার ডিজাইন হওয়ায় কেবল ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হওয়া অংশটি প্রতিস্থাপন করেই এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।